কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। — ফাইল চিত্র
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও। এর আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং প্রাক্তন সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট করেছিলেন। এ বার অধীর। ফলে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের পঞ্চায়েত মামলার শুনানির সময় তাঁরা বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাবেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, ক্যাভিয়েট দাখিল করার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ে রাজ্যকে টক্কর দিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন অধীর।
পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে ওই নির্দেশ কার্যকর করতে বলে উচ্চ আদালত। শনিবার রাতে সেই সময়সীমা পার হয়ে গেলেও হাই কোর্টের নির্দেশ পালন করতে দেখা যায়নি। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য এবং কমিশন। নবান্ন সূত্রে খবর, শনিবার সকালে শীর্ষ আদালতে অনলাইনে (ই-ফাইলিং) মামলা করেছে রাজ্য। একই পথে হেঁটেছে কমিশনও। সোমবার তাদের মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে উঠতে পারে। তবে ইতিমধ্যে শুনানির যে দু’টি তালিকা প্রকাশ হয়েছে সেখানে এ রাজ্যের কোনও মামলা নেই।
হাই কোর্টের নির্দেশ না মেনে সরকার শীর্ষ আদালতে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় আগেই ক্যাভিয়েট দাখিল করেন শুভেন্দু। পরে তাই করেন আবুহাসেমও। এখন নবান্নের অবস্থান স্পষ্ট হওয়ায় অধীরও ক্যাভিয়েট করলেন। অধীরের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে হাই কোর্টের নির্দেশ পালন না করে কমিশন আদালত অবমাননা করেছে। সোমবার উচ্চ আদালতের নজরে এই বিষয়টি নিয়ে আসব। শুনেছি ওরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। আমরাও ময়দান ছাড়তে রাজি নয়। ক্যাভিয়েট করা হয়েছে। এ বার শীর্ষ আদালতের আইনি যুদ্ধ শুরু হবে।’’
হাই কোর্টের নির্দেশ মতো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী না চেয়ে আদালত অবমাননা করেছে কমিশন এমনটা মনে করছে বিজেপিও। তাদের আইনজীবী বক্তব্য, হাই কোর্টের বৃহস্পতিবারের রায়কে মান্যতা দেয়নি কমিশন। হাই কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় তারা আদালত অবমাননা করেছে। সোমবার হাই কোর্টে এ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে।