Koustav Bagchi

লড়াই হবে রাজনীতি দিয়েই, ব্যক্তিগত আক্রমণ করা অনুচিত, কৌস্তুভকে পরামর্শ অধীর চৌধুরীর

দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ চলতে যে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা অনুচিত, তা অনুজ সতীর্থকে বোঝালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মঙ্গলবার দোলযাত্রার দিন সকালে ফোনে কৌস্তুভের সঙ্গে কথা হয় তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩ ১৭:০০
Share:

কৌস্তুভ বাগচীকে রাজনীতির পাঠ অধীর চৌধুরীর। ফাইল চিত্র।

কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচীকে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করার পর থেকেই সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন তিনি। যদিও শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতারের পর দুপুরেই জামিনে মুক্ত হন কৌস্তুভ। কিন্তু দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ চলতে যে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা অনুচিত, তা অনুজ সতীর্থকে বোঝালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মঙ্গলবার দোলযাত্রার দিন সকালে ফোনে কৌস্তুভের সঙ্গে কথা হয় বহরমপুরের সাংসদের। দু’জনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। তখনই তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে যে কোনও ধরনের আক্রমণের জবাব রাজনীতির ময়দান থেকে দিতে বলেছেন অধীর। বাধ্য ছাত্রর মতো সে কথা শুনেছেন কৌস্তুভ। অধীর তাঁকে বলেন, রাজনীতিতে ব্যক্তিগত আক্রমণের কোনও জায়গা নেই। রাজনৈতিক ময়দানে অভিযোগের জবাব দিতে হবে রাজনীতি দিয়েই।

Advertisement

পরে কৌস্তুভ বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে কথা হয়েছে অধীরদার। তাঁর কথা মতোই আমি আমার রাজনৈতিক পথ চলি। তাঁর কথা মতোই আমি চলব।’’ তবে নিজের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি যা বলেছিলাম, তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার পরিপ্রেক্ষিতে। তিনি যদি অধীরদার কাছে নিজের মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। তা হলে আমিও তাঁর পায়ে হাত দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করব।’’

গত বৃহস্পতিবার সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। ওইদিনই নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর একটি মন্তব্য নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁরা অভিযোগ করেন, অধীরবাবুর প্রয়াত কন্যার কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। জবাবে শুক্রবার বিধান ভবনে পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন কৌস্তুভ। আর শনিবার সকালে ব্যারাকপুরের বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে বড়তলা থানার পুলিশ। ওই দিনই জামিনে মুক্ত হয়েছেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে তাঁর উপর আক্রমণ হতে পারে বলেই মনে করছেন কৌস্তুভ। তাই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পাশাপাশি, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে নিরাপত্তার দাবিতে চিঠি পাঠিয়েছেন এই আইনজীবী নেতা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement