প্রদেশ কংগ্রেসের মিছিলের সমর্থনে শহরে প্রচার। —নিজস্ব চিত্র।
আর জি কর-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতার রাজপথে মিছিলের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। কলেজ স্কোয়ার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত কাল, বৃহস্পতিবার মিছিলের ডাক দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে মঙ্গলবার অধীরের আইনজীবী জানান, এই ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তাই অধীর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিচারপতি মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। মামলাটির আজ, বুধবার শুনানি হওয়ার কথা।
রাজনৈতিক শিবিরের অবশ্য বক্তব্য, প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের অনুমতির জন্য সাধারণত কোনও দলই অপেক্ষা করে না। রাস্তায় নেমেই তারা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে। সমাবেশ বা বিশেষ কোনও মিছিলের ক্ষেত্রে অনুমতির জন্য আদালতে যাওয়া হয়। অধীরও এ দিন বহরমপুরে বলেছেন, ‘‘মিছিলের ঘোষণা আমরা করে দিয়েছি। অনুমতি না-দিলে আমরা জোর করে যাব। কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার অনুমতি না-পেলে জোর করে যাওয়ার চেষ্টা করব। আইন ভাঙতে হলে আইন ভাঙব আমরা! পুলিশ যা যা করার, করবে!’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘আন্দোলন করেই আজকের মুখ্যমন্ত্রী এই জায়গায় এসেছেন। আন্দোলন করেই তিনি নেত্রী হয়েছিলেন। ক্ষমতায় থেকে এখন তিনি আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছেন!’’
কলকাতায় কাল মিছিলের আগে আজ মহাজাতি সদনে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসে উপলক্ষে সভা রয়েছে। সেখানে থাকার কথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। বাংলায় ছাত্র পরিষদের শীর্ষে এই প্রথম মহিলা মুখ নিয়ে এসেছে এআইসিসি। নতুন রাজ্য সভানেত্রী প্রিয়ঙ্কা চৌধুরী জানিয়েছেন, বিজেপি-র ডাকা বন্ধ কোনও ভাবেই তাঁদের সংগঠনের কর্মসূচি বানচাল করতে পারবে না। বিজেপি-আরএসএসের প্ররোচনায় তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের পা না-দেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রিয়ঙ্কার বক্তব্য, ‘‘রাজ্যের তৃণমূল সরকার যে ভাবে তদন্তকে ধামাচাপা দিতে চাইছে ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে ভাবে সিবিআই তদন্তকে শিথিল করার চক্রান্ত করছে, তার বিরুদ্ধে ছাত্র পরিষদ সর্বাত্মক গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।’’