মাগুর হাতে রাস্তায় কংগ্রেস। নিজস্ব চিত্র।
অনুব্রত মণ্ডলকে (কেষ্ট) আসানসোল আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে আবারও উঠল ‘চোর’ ‘চোর’ স্লোগান। তারই সঙ্গে আদালতের বাইরে মাগুর মাছ ছড়িয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে কটাক্ষ করল কংগ্রেস। এ নিয়ে পাল্টা জবাব দিল তৃণমূলও। গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে তখনও আসানসোলের সিবিআই বিশেষ আদাতে তোলা হয়নি। আদালতের অদূরের রাস্তায় শোনা গেল, ‘গরু চোর, হায়! হায়’, ‘বালি চোর, হায়! হায়!’ স্লোগান। যাঁরা এই স্লোগান দিচ্ছেন, তাঁদের পরনে পাজামা-পাঞ্জাবি। কারও হাতে কংগ্রেসের পতাকা। কেউ কেউ হাতে নিয়েছেন জ্যান্ত মাগুর মাছ। সেই মাগুর আবার রাস্তায় ফেলেও কংগ্রেস নেতারা চেঁচাচ্ছেন, ‘‘মাগুর, জ্যান্ত মাগুর! বীরভূমের মাগুর।’’ এ নিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হতেই ছুটে আসে পুলিশ। ধস্তাধস্তি শুরু হয় কংগ্রেস নেতাকর্মী ও পুলিশের।
কিন্তু হঠাৎ কেন ‘মাগুর-প্রতিবাদ’? বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি প্রথম জীবনে মাছের ব্যবসা করতেন। কিছু দিন আগে অনুব্রতের গ্রেফতারির পর তাঁকে ‘মাগুর ব্যবসায়ী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, “অনুব্রত মণ্ডল একজন মাফিয়া। প্রশ্রয়ে-আশ্রয়ে (তৃণমূলের) যে মাগুর মাছ বিক্রি করত, সে আজ হাজার কোটি টাকার মালিক!” তিনি এ-ও বলেন, “অনুব্রতরা কার নির্দেশে গরু পাচার, কয়লা পাচার, বালি পাচার করেছেন তাঁদের নামগুলো বলবেন।” শনিবার অনুব্রতকে কটাক্ষ করে যখন ‘চোর’ স্লোগান ওঠে, তার পাল্টা ‘চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা’ স্লোগান তোলেন তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা।
কংগ্রেসের ওই ‘মাগুর-প্রতিবাদ’ নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের নাম তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কংগ্রেস আয়নায় মুখ দেখুক। ওরা ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা আগে সামলাক। সনিয়া গাঁধী এবং রাহুল গাঁধীকেও ইডি তলব করেছে।’’