অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
বাংলায় কি তৃণমূলের সঙ্গে জোট হবে কংগ্রেসের? এই নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে, তখন জোটের ভার হাইকমান্ডের হাতেই ছাড়লেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। একইসঙ্গে অবশ্য তিনি জানিয়ে দেন, তৃণমূল এবং বিজেপি— দুই দলের বিরুদ্ধে লড়তে হলে তিনি আগের মতোই প্রস্তুত।
শুক্রবার অধীরকে জোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘জোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকমান্ড। তবে কী হল না-হল তাতে কোনও ফারাক হবে না। আমি আগেও বিজেপি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে জিতেছি। এ বারও সেই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’’ উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সারা বছর তৃণমূল বিরোধিতায় চড়া মেজাজে থাকা অধীর সরাসরি জোট নিয়ে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলেননি। গোটাটাই ছাড়ছেন হাইকমান্ডের উপর।
গত এক মাস ধরেই বাংলার রাজনীতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট নিয়ে জল্পনা চলছে। এর মধ্যে মমতা যেমন দরজা খোলা রাখার বার্তা দিয়েছেন, তেমনই হাইকমান্ডের সঙ্গে বৈঠকে অধীর-সহ বাংলার সিংহভাগ কংগ্রেস নেতা তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করেছেন বলে খবর। তার পর গত বুধবার মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)-র মন্তব্য ঘিরে নতুন জল্পনা তৈরি হয়। ডালুর বক্তব্য ছিল, সংবাদমাধ্যম মারফত তিনি জেনেছেন যে, মমতা কংগ্রেসকে কথা দিয়েছেন, গত বারের জেতা দু’টি আসন ছেড়ে দেবেন। আরও কিছু আসন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে সেই আবহেই আবার বৃহস্পতিবার দেগঙ্গায় তৃণমূলের কর্মিসভা থেকে মমতা বলেন, ‘‘সারা দেশে ইন্ডিয়া থাকবে। বাংলায় লড়বে তৃণমূল। কারণ তৃণমূলই পারে বাংলায় বিজেপিকে শিক্ষা দিতে। অন্য কোনও পার্টি নয়।’’ যা নিয়ে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে, মমতা কি তা হলে একলা লড়াইয়েরই বার্তা দিয়ে দিলেন?
গত ১৯ ডিসেম্বর সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক ছিল। সেখানে তৃণমূলের তরফে আসন সমঝোতার বিষয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত বাংলা বা অন্য রাজ্যে ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলির মধ্যে সমঝোতা বিশেষ কিছু এগনোর খবর নেই।