কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
ঝালদা পুরসভা নিয়ে এ বার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল কংগ্রেস। জেলাশাসককে পুরসভার মাথায় বসানোর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। শুক্রবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ কংগ্রেসের আইনজীবীকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। আগামী সোমবার মামলাটি শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ তাঁর নির্দেশে জানিয়েছিলেন, ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেস বা তৃণমূল, কোনও দলই তাদের পছন্দের পুরপ্রধান নিয়োগ করতে পারবে না। আগামী এক মাস ঝালদা পুরসভার যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন পুরুলিয়ার জেলাশাসকই। কিন্তু আদালতের এই নির্দেশে সন্তুষ্ট হতে পারেনি পুরসভায় আস্থাভোটে জয়ী কংগ্রেস। তারা আগেই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল। আদালতের এই রায়ের ফলে ইতিমধ্যেই জবা মাছোয়ার নামে যে কাউন্সিলরকে চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল, তা যেমন কার্যকর করা যায়নি, তেমনই ঝালদা পুরসভায় আস্থাভোটে জয়ী হওয়ার পর যে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পুরপ্রধান হিসাবে মনোনীত করেছিল কংগ্রেস, তিনিও দায়িত্ব নিতে পারেননি।
ঝালদা পুরসভায় গত ২১ নভেম্বর আস্থাভোটে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে। অপসারিত হন তৃণমূলের পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল। তার পর থেকেই পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। এরই মধ্যে রবিবার দু’দলের মনোনীত পুরপ্রধান জবা এবং শীলা একসঙ্গে ঝালদা পুরসভায় এসে পৌঁছলে ঝালদা নিয়ে ‘নাটক’ নতুন মোড় নেয়। শেষে সমস্যার কথা জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা হাই কোর্ট ঝালদা পুরসভা নিয়ে স্থগিতাদেশ জারি করে বলে, পুরুলিয়ার জেলাশাসকই আপাতত পুরসভার দায়িত্ব নেবেন।
প্রসঙ্গত, ঝালদায় আস্থাভোটে জিতে কংগ্রেস পুরপ্রধান নিয়োগের অনুমতি চাইলেও তার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পাল্টা সরকারপক্ষ জানিয়েছিল, যে হেতু পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় পুরপ্রধান এবং উপপুরপ্রধান দু’জনেই পদত্যাগ করেছেন, তাই সেখানে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করবে।