অমিত শাহের উদ্দেশে প্রশ্ন নিয়ে কংগ্রেসের ধর্না-অবস্থান। ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তির নীচে। —নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কলকাতা সফরের দিনে তাঁর উদ্দেশে পাঁচটি প্রশ্ন তুলে শহরে বিক্ষোভ-অবস্থানে বসল কংগ্রেস। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের শেয়ার কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ আসার পরে কয়লা-দুর্নীতির সাম্প্রতিক অভিযোগে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত হল না কেন, রাজস্থান বা মধ্যপ্রদেশে ভোটের প্রচারে বিজেপির প্রতিশ্রুতি মতো সারা দেশে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৪৫০ টাকা হবে না কেন, নারদ-কাণ্ডে এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ছাড় দেওয়া হল কেন, ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে অভিযুক্তদের দেশে ফেরানো হচ্ছে না কেন, মণিপুরে কেন এখনও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যাননি— এই পাঁচ প্রশ্নের জবাব কংগ্রেস দাবি করেছে শাহের কাছে। দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের ডাকে বুধবার বিড়লা তারামণ্ডলের কাছে ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তির সামনে ধর্নায় শামিল হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ প্রমুখ। পাশাপাশিই প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়ের বক্তব্য, ‘‘শাহ এসে দুর্নীতির কথা বললেও কালীঘাট বা ক্যামাক স্ট্রিটের মাথাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কবে নেওয়া হবে, সেই ব্যাপারে কিছুই বলেননি। ভোট এলেই শুধু দিল্লি থেকে বিমান বা রাজধানী এক্সপ্রেস চেপে সিএএ-র কথা এসে পড়ে!’’
শাহের উদ্দেশে তোপ দেগেছে সিপিএমও। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, ‘‘আমরা চাই জনগণনা হোক, জাতভিত্তিক জনগণনা এবং আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা হোক। জনগণনা করাননি কেন অমিত শাহ? কারণ, সমীক্ষা করালে বেরিয়ে পড়তে পারে যে, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কেরালা বা পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বেশি।’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী এ দিনই বলেছেন, ‘‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও কথা নেই শাহের। তৃণমূলের মতো তারা কোনও না কোনও বিভাজন নিয়ে ব্যস্ত। রামমন্দির, ৩৭০ ধারা এ সব নিয়ে শাহ বলে গেলেন, যা নিয়ে বাংলার মানুষের কোনও উৎসাহ নেই।’’