প্রতারিতদের নিয়ে পাল্টা চাল বাম-কংগ্রেসের

আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই দিল্লি যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সিপিএম নেতারাও চেষ্টা চালাচ্ছেন আমানতকারী ও এজেন্টদের মঞ্চ থেকে দ্রুত ধর্না, বিক্ষোভ অবস্থানের কর্মসূচি নেওয়ার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

কলকাতার পরে দিল্লিতে দ্বিতীয় দফার ধর্নার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ধর্না-রাজনীতির মোকাবিলায় বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার হাতে প্রতারিত আমানতকারীদের নিয়ে পাল্টা আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে বাম ও কংগ্রেস। আমানতকারী ও এজেন্টদের মঞ্চকে সামনে রেখে টাকা ফেরত ও প্রতারকদের শাস্তির দাবিতে কলকাতায় ধর্না-অবস্থানে নামার পরিকল্পনা করছেন সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের মতে, এতে যেমন এক দিকে সাধারণ মানুষের দুর্দশায় পাশে থাকার বার্তা দেওয়া যাবে, তেমনই আবার লোকসভা ভোটের আগে বাম-কংগ্রেস যৌথ আন্দোলনের মহড়াও হবে।

Advertisement

আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই দিল্লি যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সিপিএম নেতারাও চেষ্টা চালাচ্ছেন আমানতকারী ও এজেন্টদের মঞ্চ থেকে দ্রুত ধর্না, বিক্ষোভ অবস্থানের কর্মসূচি নেওয়ার। সেখানে কংগ্রেস নেতাদেরও হাজির করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘চিট ফান্ডকেলেঙ্কারিতে আমরা এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব একসঙ্গে প্রতিবাদ আগেও করেছি। এখনকার পরিস্থিতিতে আবার সেই উদ্যোগ হতেই পারে।’’ আমানতকারীদের সংগঠনগুলিও দাবি আদায়ের জন্য নতুন করে সরব হয়েছে।

মমতার ধর্না চলাকালীনই ‘চোর ধরো, জেল ভরো’র ডাক দিয়ে কলকাতায় মিছিল করেছিল সিপিএম। প্রতারিতদের টাকা ফেরত এবং প্রতারকদের শাস্তির দাবিতেই প্রদেশ কংগ্রেস বুধবার মিছিল করেছে রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত। মিছিলে ছিলেন সোমেন মিত্র, অমিতাভ চক্রবর্তী, মায়া ঘোষ-সহ প্রদেশ নেতৃত্ব এবং কয়েক জন বিধায়ক। সিপিএমের সুরেই সেই মিছিল থেকে স্লোগান দেওয়া হয়েছে ‘মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও, মমতা হটাও, রাজ্য বাঁচাও’। মিছিল শেষে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেনবাবু বলেন, ‘‘সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাপস পাল গ্রেফতার হওয়ার সময়ে তৃণমূল নেত্রী ধর্নায় বসেননি। তা হলে কি ধরে নিতে হবে, তাঁরা চোর ছিলেন?’’আর রাজীব কুমারের কাছে প্রশ্ন, আপনি যদি কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন এবং তিনি বারবার এড়িয়ে যেতেন, তা হলে আপনি কী করতেন?’’ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অবশ্য পাল্টা দাবি, ‘সাইনবোর্ড’ হয়ে যাওয়া দলের কথায় মানুষ গুরুত্ব দেবেন না।

Advertisement

বিজেপি-তৃণমূলের ‘নাটক’ বন্ধ করে টাকা ফেরতের দাবিতে এ দিন ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেছে ফরওয়ার্ড ব্লকও। দলের নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায়, হাফিজ আলম সৈরানিদের দাবি, সরকারি নিষেধাজ্ঞা ভেঙে মুখ্যমন্ত্রী যদি মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসতে পারেন, তা হলে সব সংগঠনকেই সেই অধিকার দিতে হবে। ‘অল বেঙ্গল চিটফান্ড সাফারার্সওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে’র রাজ্য সভাপতি রূপম চৌধুরী এ দিন দাবি করেছেন, সব ক্ষতিগ্রস্তের টাকা ফেরাতে হবে এবং কেলেঙ্কারি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement