মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
করোনা-যুদ্ধে রাজ্যকে আরও ক্ষমতা ও রসদ দেওয়ার দাবিতে সিপিএমের মতো সরব হল আর এক বিরোধী দল কংগ্রেসও। তার পাশাপাশিই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র দাবি জানালেন, লকডাউনের মধ্যে সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের বেতন বা মজুরি পাওয়ার বিষয়টি যেন নিশ্চিত করা হয়।
অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে যে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিচ্ছে, তার প্রেক্ষিতে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। এআইসিসি-র পরামর্শেই রাজ্যগুলির হাতে আরও ক্ষমতা দেওয়ার দাবিতে প্রদেশ কংগ্রেস সরব হচ্ছে। ভিডিয়ো-বার্তা এবং সামাজিক মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ওই দাবি তুলছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এ রাজ্যের কংগ্রেসও দাবি করেছে রাজ্য সরকারের উপর থেকে পিপিই-সহ মেডিক্যাল সরঞ্জাম সংগ্রহ ও বণ্টনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিলে দান করলে বাণিজ্যিক সংস্থা ছাড় পাবে অথচ মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে সেই সুবিধা মিলবে না, এই নীতিরও বিরোধিতা করেছে তারা। রাজ্যগুলির জন্য মোট এক লক্ষ কোটি টাকার তহবিল চেয়েছে কংগ্রেস। সোমেনবাবুর বক্তব্য, ‘‘যে যা-ই বরাদ্দ করুন না কেন, সবই মানুষের দেওয়া কর থেকে আসে। রাজ্যগুলো যে হেতু করোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে কাজ করে, তাই আমরা রাজ্যের দাবিগুলির সঙ্গে সহমত পোষণ করি।’’
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে সোমবারই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেছেন, সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের বেতন পাওয়া নিশ্চিত করা হোক এবং সরকারি অনুদান ও রেশনের আওতায় তাঁদেরও আনা হোক।
আরও পড়ুন: এমন যোগ্য শিক্ষক আর কোথায় পাব
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে পরীক্ষা নয় সবার: শীর্ষ আদালত
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)