অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ভোলা। ছবি: ফেসবুক থেকে।
হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতা আদিত্য নিয়োগীকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে দলেরই কর্মী সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ভোলার বিরুদ্ধে। আদিত্য-ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, তৃণমূল নেতা সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনার নির্দেশে গুলি চালিয়েছে ভোলা। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পালা শুরু হয়েছে শাসক দলের অন্দরেই।
গত ১১ তারিখ বাঁশবেড়িয়ার বেলতলা বাজারে ফল কিনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন আদিত্য। তাঁকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরেই পুরসভার প্রশাসক অরিজিতা শীলকে সরিয়ে পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্যকে প্রশাসক করে দেওয়া হয়। অরিজিতার স্বামী সত্যরঞ্জন ওরফে সোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে আদিত্যকে খুনের চেষ্টার। ঘটনার পর থেকে আত্মগোপন করে রয়েছেন সোনা। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে সোনার বিরুদ্ধে।
এই ঘটনার পরে একটি ভিডিয়ো বার্তায় সোনা বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমি দাদার (পড়ুন সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত) জন্য কী করেছি, তা সবাই জানেন। আদিত্য আমার বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমি কয়েক দিন পরেই আত্মসমর্পণ করব। আমার একটাই প্রার্থনা, আমাকে বলা হোক কী ভুল আমি করেছি। যদি সত্যিই আমি কোনও ভুল করে থাকি, তাহলে যা শাস্তি দেওয়া হবে মাথা পেতে নেব।’’
অন্য দিকে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভোলা একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘‘সোনাদা বা আমি এই রকমের কোনও কাজ করতে পারি না। আদিত্য ইচ্ছা করে আমাদের ফাঁসিয়েছে। আমাদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি দলনেত্রীর কাছে অনুরোধ করছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’ যদিও দুটি ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার ডিজিটাল যাচাই করেনি।
যদিও এই প্রসঙ্গে সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত ঘটনার দিনই অভিযোগ করেছিলেন, সোনা বিজেপি-র হয়ে কাজ করে চুঁচুড়া ও সপ্তগ্রামে তৃণমূলকে হারানোর চেষ্টা করেছিল। সোনার ভিডিয়ো বার্তা সম্পর্কে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।’’