Price Hike of Vegetables

বেগুন ১৫০ পার, কিছু শান্তি পটলে

কোলে মার্কেটের আনাজ কারবারিরা বলছিলেন, বেগুন মূলত বনগাঁ এবং নদিয়া থেকে আসে। দু’জায়গাতেই গরমে বেগুনগাছ শুকিয়ে কাঠ। গাছের বেগুনে পোকাও ধরেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪ ০৬:৩৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

শতরান আগেই হাঁকিয়েছে। বাজার আগুন করে বেগুন এ বার ১৫০-র গণ্ডিও পার হয়ে গেল। তেলেভাজার দোকানের বেগুনিতেও সঙ্কটের ছায়া।

Advertisement

শুধু বেগুনই নয়। টোম্যাটো থেকে শুরু করে ক্যাপসিকাম, ধনেপাতা, ঢেঁড়শ, লঙ্কা, ঝিঙে, উচ্ছেরও ‘পায়া ভারি’। গৃহস্থের শান্তি নেই মাছ-বাজারেও। কাটা রুই, কাতলাই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪৫০ টাকায়।

কোলে মার্কেটের আনাজ কারবারিরা বলছিলেন, বেগুন মূলত বনগাঁ এবং নদিয়া থেকে আসে। দু’জায়গাতেই গরমে বেগুনগাছ শুকিয়ে কাঠ। গাছের বেগুনে পোকাও ধরেছে। ভেন্ডর অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তথা কোলে মার্কেটের জনসংযোগ আধিকারিক কমল দে বলেন, ‘‘এক বিঘা জমিতে আগে ৫০০ মণ বেগুন হলে এখন হচ্ছে ৫ থেকে ১০ মণ। চাষের খরচ কিন্তু যে কে সেই। চাষিদের থেকে কেনা বেগুন তো পাইকারিতেই ১০০ থেকে ১২০ টাকা হয়ে যাচ্ছে। খোলা বাজারে ভাল বেগুন ১৫০ পার। পোকা বেগুনই প্রায় ১০০ টাকা কেজি।’’

Advertisement

চন্দ্রমুখী আলু ৩৫-৪০, পেঁয়াজ ৪৫-৫০, ঝিঙে ৬০-৭০, ক্যাপসিকাম ১৫০, লঙ্কা ১৫০, গাজর ৪০, উচ্ছে ৭০-৮০, ঢেঁড়শ ৭০, ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি। একটা লাউয়ের দাম ৪০-৪৫ টাকা। শুধু পটল ৪০ টাকা কেজিতে স্থিতিশীল। তবে বেশি চাহিদা বাড়লে এই পটল-সুখও ক’দিন সইবে সন্দেহ। কোলে মার্কেটের পাইকারি আলু বিক্রেতারা মনে করছেন, আলুর দাম এখনই কমার সম্ভাবনা কম। কারণ আলু মাঠে ওঠার সময়ে (গত ফেব্রুয়ারিতে) খুব বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টিতে প্রায় দু’দিন জমিতে জল জমে ছিল। এর ফলে ৫০-৬০ শতাংশ আলুর মান খারাপ হয়ে যায়। আলু রাখার হিমঘরই ভরেনি। সেই কম জোগানের ধাক্কা এখনও সামলানো যায়নি বলে আলু বিক্রেতাদের একাংশের দাবি। গড়িয়াহাটের
আনাজ বাজারের সেক্রেটারি তথা রাজ্য টাস্ক ফোর্সের সদস্য দিলীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘গাড়িতে আনাজ আনার খরচও বেড়েছে। তারও ছাপ আনাজের দামে।’’

শেষ আষাঢ়েও দেখা নেই ইলিশের। মানিকতলা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী প্রদীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘এক কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দর উঠেছে ১৩০০ টাকা। এক কিলোর থেকে একটু কম ওজনের ইলিশের দামও ১০০০ টাকা। জোগান নামমাত্র।’’ পাশাপাশি, ট্যাংরা ৯০০, পমফ্রেট ৭০০, পার্শে ৫০০, তোপসে ১০০০ টাকা কেজি। তবে মাছ কারবারিরা ভরসা দিচ্ছেন, বর্ষায় পুকুর, খাল বিল, নদী ভরে উঠলে মাছের দাম কিছুটা পড়বে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement