Education

দ্বাদশে এক প্রশ্নপত্রে জটিলতার আশঙ্কা

অনেক আগে উচ্চ মাধ্যমিকে একটিই প্রশ্নপত্র দেওয়া হত। তখন অবশ্য এমসিকিউ বা একই প্রশ্নের অনেক উত্তরের মধ্যে ঠিকটি বেছে নেওয়ার ব্যবস্থা ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৫১
Share:

দু’টি পর্বের জন্য একটিই প্রশ্নপত্রের ব্যবস্থা করছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। প্রতীকী ছবি।

এমসিকিউ বা ‘মাল্টিপ্‌ল চয়েস কোয়েশ্চেন’ এবং এসএকিউ ‘শর্ট আনসার কোয়েশ্চেন’ চালু হওয়ার পরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দু’টি পর্বের দু’টি পৃথক প্রশ্নপত্র দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এ বার থেকে দু’টি পর্বের জন্য একটিই প্রশ্নপত্রের ব্যবস্থা করছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এর ফলে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষক, উভয় পক্ষেরই সমস্যা হবে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, এতে এক দিকে মূল্যায়ন করতে অসুবিধা হবে। তারও আগে পরীক্ষার্থীদের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে।

Advertisement

অনেক আগে উচ্চ মাধ্যমিকে একটিই প্রশ্নপত্র দেওয়া হত। তখন অবশ্য এমসিকিউ বা একই প্রশ্নের অনেক উত্তরের মধ্যে ঠিকটি বেছে নেওয়ার ব্যবস্থা ছিল না। তার পরে, কয়েক বছর ধরে উচ্চ মাধ্যমিকে দু’টি প্রশ্নপত্র দেওয়া হচ্ছিল— ‘পার্ট-এ’ আর ‘পার্ট-বি’। ‘পার্ট এ’-তে শুধুই প্রশ্ন থাকত এবং সেই সব প্রশ্নের উত্তর লিখতে হত খাতায়। ‘পার্ট বি’-তে থাকত এমসিকিউ এবং এসএকিউ। ‘পার্ট বি’-র প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য একটি বুকলেট দেওয়া হত। সেই সব প্রশ্নের উত্তর লিখতে হত বুকলেটেই। পরীক্ষা শেষে সেই বুকলেটটি ‘পার্ট এ’-র উত্তর লেখা খাতার সঙ্গে সেলাই করে জমা দিতে হত।

উচ্চ মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষক সুমনা সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আগে যে-হেতু বুকলেটেই পার্ট বি-র পুরো উত্তর লেখার ব্যবস্থা ছিল, তাই পরপর সব প্রশ্নের উত্তর লিখতে বাধ্য হত পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু এ বার এমসিকিউ-এর উত্তর বিক্ষিপ্ত ভাবে গোটা খাতায় ছড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা আছে। খুব কম সময়ের মধ্যে অনেক খাতা দেখতে হয়। কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় পরীক্ষকদের খাতা দেখার সময় অনেক বেড়ে যাবে।’’ কিছু পরীক্ষকের মতে, এমসিকিউ এবং এসএকিউ-এ একটার বদলে অন্য উত্তর লেখার সুযোগ থাকে। পরীক্ষার্থীরা অনেক সময়েই দু’টি উত্তরই লিখে দেয়। তখন একটা বাতিল করতে হয়। অভিযোগ, এখন আলাদা জায়গায় দু’টি উত্তর লিখে দিলে পরীক্ষকদের পক্ষে ধরা অসম্ভব। ‘কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘স্কুলে কম খাতা দেখতে হয়। তখনই একটি খাতায় সব প্রশ্নের উত্তর লিখলে সমস্যা দেখা দেয়। আর উচ্চ মাধ্যমিকে তো অনেক খাতা দেখতে হয় পরীক্ষকদের। তাই তাঁদের অসুবিধা তো হবেই। ছাত্রছাত্রীরাও একই প্রশ্নের উত্তর দু’বার লিখে ফেলতে পারে। উপরন্তু বড় হয়ে যেতে পারে এসএকিউ-এর উত্তর।’’

Advertisement

তবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘এমসিকিউ এবং এসএকিউ-এর উত্তর বিক্ষিপ্ত ভাবে খাতায় লেখা যাবে না। পুরোটাই এক জায়গায় লিখতে হবে। প্রশ্নপত্রে সেই নির্দেশ দেওয়া থাকবে। ফলে গোটা খাতা জুড়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে উত্তর ছড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা নেই।’’ তিনি জানান, আগে অনেক সময় পরীক্ষার্থীরা দু’টি আলাদা খাতা একসঙ্গে ঠিকমতো সেলাই করতে না-পারায় অনেক সময়েই উত্তরপত্র হারিয়ে যেত। এ বার থেকে সেই সমস্যা থাকবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement