Justice Abhijit Gangopadhyay

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘মন্তব্য’ ঘিরে অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে, কী বলল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ?

এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুকুল রোহতগি সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চে অভিযোগ তুলেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:০২
Share:

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ উঠছে। ফাইল চিত্র।

এক দিকে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একের পর এক নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ জারি হচ্ছে। অন্য দিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য সম্পর্কেও সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ উঠছে।

Advertisement

এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুকুল রোহতগি সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চে অভিযোগ তুলেছিলেন। বলেছিলেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের দুর্নীতির মামলা শুনছেন। সেই মামলা নিয়েই টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। তাঁর মামলা শোনার কোনও অধিকার থাকতে পারে না!

এ বার আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও সুপ্রিম কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন খোদ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। সিঙ্ঘভি আদালতে উল্লেখ করেন, ‘‘হাই কোর্টের বিচারপতি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলে যা ইচ্ছে করা যায়? জমিদারি নাকি? ’’

Advertisement

আজ সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিষেকের বিরুদ্ধে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। গত সপ্তাহেও স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় চাকরি খারিজের যাবতীয় নির্দেশ ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার আগে গত ২৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চ ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই ও ইডি-র যৌথ তদন্তের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। তার পরের দিনই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই মন্তব্য করেছিলেন।

মনু সিঙ্ঘভি সে কথা টেনে আজ বলেন, ‘‘এ সবের অনুমতি দেওয়া যায় না।’’ এর পরে এবিপি আনন্দকে দেওয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারেরও উল্লেখ করে পুরো সাক্ষাৎকারটি দেখার অনুরোধ জানান তিনি। তবে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় তাঁর বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি পি এস নরসিংহের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেন। তার পরে বলেন, ‘‘আমরা সংবাদমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করছি না, তার বিরোধিতা করছি না।’’ যা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা মনু সিঙ্ঘভিকে এজলাসে জোরে জোরে পড়তেও বারণ করেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement