Partha Chatterjee

পার্থের আংটি: প্রেসিডেন্সি জেলসুপারের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের থানায়

নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ প্রায় এক বছর প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি। জেলের মধ্যেও আঙুলে আংটি পরে থাকা নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৩ ১৩:০৭
Share:
Complaint against Jail super of Presidency correctional home in Partha Chatterjee Ring Case

পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র ।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আংটিকাণ্ডে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশকেই মান্যতা দিয়ে জেলসুপার দেবাশিস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করল কারা দফতর। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ এনে ডিআইজি কারার তরফে প্রেসিডেন্সি জেলসুপারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশের পর কারা কর্তৃপক্ষের তরফে চিকিৎসকের বয়ান নেওয়া হয়েছিল। তার পরই জেলসুপারের বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে পাবলিক প্রসিকিউটার দীপঙ্কর কুণ্ডু বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনে ডিআইজি কারার তরফে প্রেসিডেন্সির জেলসুপারের বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২৭ জুন হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কারেকশনাল সার্ভিস অ্যাক্টের ৮৩ নম্বর ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।’’

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ প্রায় এক বছর প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি। জেলের মধ্যেও আঙুলে আংটি পরে থাকা নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। অভিযোগ উঠেছিল, নিয়ম না থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ ৯ মাস ধরে জেলের মধ্যে হাতে আংটি পরে ছিলেন তিনি। আদালতে এই নিয়ে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডির আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ‘জেল কোড’ অনুসারে সংশোধনাগারে কোনও অলঙ্কার পরা যায় না। কিন্তু পার্থ সেই নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তবে আদালতের হস্তক্ষেপে পরে সেই আংটি খুলে ফেলেন পার্থ। তিনি আদালতে দাবি করেছিলেন, স্বাস্থ্যের কারণেই ওই আংটি তিনি পরেছিলেন। তাঁকে জেলে কেউ আংটি পরতে বারণ করেননি বলেও দাবি করেছিলেন পার্থ।

Advertisement

তারই প্রেক্ষিতে জেলসুপার দেবাশিসকে ডেকে পাঠিয়েছিল আদালত। কেন পার্থ জেলে থাকা অবস্থাতেও হাতে আংটি পরে রয়েছেন, তা সবিস্তারে লিখিত আকারে নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। দেবাশিস আদালতে জানিয়েছিলেন, পার্থের আঙুল ফুলে থাকার কারণে তাঁর আংটি খোলা যায়নি। জেল সুপারের দেওয়া জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকেই মান্যতা দিয়ে জেলসুপারের বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল।

প্রসঙ্গত, শনিবার পার্থের জামিনের শুনানি ছিল। কিন্তু পার্থের আইনজীবী আদালতে সময় চাওয়ায় শুনানি হয়নি। ২০ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement