State News

সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই রেল ভোগান্তি

ট্রেন কম থাকায় নিত্যযাত্রীদের অনেককেই এ দিন  বাদুড়ঝোলা হয়ে শিয়ালদহ পৌঁছতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৫৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

রেলের আশ্বাস সত্ত্বেও সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই ভোগান্তি টের পেলেন যাত্রীরা। ট্রেন বন্ধ থাকার জেরে ভিড়ের চাপে নাভিশ্বাস উঠল যাত্রীদের।

Advertisement

ইছাপুর এবং নৈহাটির মধ্যে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালুর কাজ চলায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল পর্যন্ত ওই শাখায় কমবেশি ৩০০টির বেশি ট্রেন বাতিল করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে এ দিন ৫২টি ট্রেন বাতিল ছিল।

ট্রেন কম থাকায় নিত্যযাত্রীদের অনেককেই এ দিন বাদুড়ঝোলা হয়ে শিয়ালদহ পৌঁছতে দেখা গিয়েছে। কাঁকিনাড়া, নৈহাটি ছাড়াও সোদপুর, দমদম, বেলঘরিয়া-সহ বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় যাত্রীদের ভিড় কার্যত প্ল্যাটফর্মে উপচে পড়েছে ।

Advertisement

আরও পড়ুন: বাজেটে নেই ডিএ প্রসঙ্গ, হতাশ কর্মচারীরা

যাত্রীদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে রেল গ্যালোপিং ট্রেন চালায়নি। বেশির ভাগ ট্রেনই সব স্টেশনে থেমেছে। তবে তার পরেও সকাল এবং সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ের ভিড় পুরোপুরি সামাল দেওয়া যায়নি। শিয়ালদহ ছাড়াও মেন লাইনের বিভিন্ন স্টেশনে রেলের পক্ষ থেকে নাগাড়ে ঘোষণা চলে। শিয়ালদহ উত্তর শাখার ১ থেকে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এ দিন যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মেন লাইনের বেশির ভাগ ট্রেন প্রধানত ওই সব প্ল্যাটফর্ম থেকেই ছাড়ে।

এ দিন শিয়ালদহে রানাঘাট যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে এসেছিলেন পম্পা বিশ্বাস নামে এক গৃহবধু। এসএসকেএমে চিকিৎসককে দেখিয়ে স্বামীকে নিয়ে ফিরছিলেন। ভিড়ের চাপে অফিসের ব্যস্ত সময় এড়িয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ট্রেন কম। রোগী নিয়ে ভিড়ের মধ্যে ওঠার ঝুঁকি নিতে পারিনি। তাই খালি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে।’’

উত্তর শহরতলির বিভিন্ন স্টেশন থেকে আসা যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ লোকাল ট্রেনগুলি সব স্টেশনে থামলেও সোদপুর, দমদম, বেলঘরিয়া, বিধাননগর রোডের মতো বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছে। ভিড়ের চাপে বয়স্ক এবং মহিলা যাত্রীদের অনেকে সময়মতো ট্রেনে উঠতে পারেননি বলে অভিযোগ।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী অবশ্য জানান, ব্যস্ত সময়ের ট্রেনগুলিকে ছাড় দিয়ে তুলনামূলকভাবে ভিড় কম থাকে এমন ট্রেনগুলির যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। প্রতিদিন শিয়ালদহ-নৈহাটি শাখায় ২৪০টি ট্রেন চলে। তার মধ্যে সিগন্যালিংয়ের কাজের জন্য ৫২টি ট্রেন বাতিল করা হয়। যাত্রীদের সুবিধার জন্য ৯ কোচের ট্রেনের বদলে ১২ কোচের ট্রেনের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দু’টি অতিরিক্ত রেক মজুত রেখেছে রেল। কোনও কারণে সমস্যা দেখা দিলে ওই রেক চালানো হবে বলে জানান নিখিলবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement