বড়দিনে জমজমাট ইকো পার্ক। নিজস্ব চিত্র
বড়দিনে হতাশ হয়নি রাজ্যবাসী। এ বার বর্ষবরণে ছক্কা হাঁকাতে তৈরি হচ্ছে শীত। নতুন করে পশ্চিমীঝঞ্ঝায় বাধা না পেলে, ফের দাপট দেখাবে উত্তুরে হাওয়া। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সপ্তাহান্তে ফের জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। দার্জিলিং-সহ উত্তরের জেলাগুলিতে শীতের দাপট আরও বাড়বে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। ফলে, বড়দিনের মতো বর্ষবরণের রাতেও হতাশ করবে না শীত।
বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বড়দিনে তাপমাত্রা ফের নিম্নগামী হওয়ায় শীতের আমেজ চুটিয়ে উপভোগ করছেন পর্যটকেরা। দার্জিলিঙের ম্যাল থেকে কলকাতার ইকো পার্ক— কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। ঝলমলে আলোয় সেজে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট। সান্টার টুপি পরে খুদেরা তো বটেই, ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে সত্তররের ‘যুবক’কেও। রেস্তরাঁয় লম্বা লাইন সকাল থেকেই। সূর্য ডুবলে নৈশ আমোদপ্রমোদের জন্য মেতে উঠতে তৈরি অনেকেই।
ইকোপার্কের সঙ্গে ভিড়ের দৌড়ে হাড্ডাহাড্ডি ল়ড়াই চলছে ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানার। জেলা থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা ভিড় করেছেন সেখানে। অনেকে আবার ছোলা-বাদাম নিয়ে ময়দানে আস্তানা গেড়েছেন। একঝলকে দেখলে মনে হবে যেন কোনও মেলা চলছে।
আরও পড়ুন: একুশ শতকে সূর্যকে ঢাকার সুযোগ চাঁদ পাবে আর ৫৫ বার!
কলকাতার মতোই দার্জিলিঙের ম্যালেও জমজমাট ভিড়। এ দিন দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.২ ডিগ্রি। কনকনে ঠান্ডায় বাতাসিয়া লুপে গরম গরম মোমোর সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন যেন আরও স্বর্গীয় হয়ে উঠেছে। পাহাড়ে যেমন ভিড় হয়েছে তেমনই মন্দারমণি-দিঘা-তাজপুরের সমুদ্র সৈকতে ভিড় চোখে পড়ার মতোই। অনেকে আবার সুন্দরবনে মাতলা নদীর উপরে নৌকা বিহারে মেতেছেন। ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে যদি বাঘ মামাকে এক বার দেখা যায়!
আরও পড়ুন: ‘সিএএ নিয়ে জোটে আলোচনাই হয়নি’, চাপ বাড়াল এনডিএ-র পুরনো শরিক শিরোমণি অকালি দল
দার্জিলিঙের মতোই জেলার তাপমাত্রাও বেশ নিম্নগামী। বালুরঘাটে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কোচবিহারে ৭.৭, দমদম ১৩, দিঘা ১৩.২, কালিম্পং ৫.০, পানাগড় ১০.৭, পুরুলিয়া ১১.৪, শিলিগুড়ি ৬.৮ ডিগ্রি।