‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রচারে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি কমেছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রচার-স্লোগানটির বয়স সবে বছর দেড়েক। পথ-নিরাপত্তা নিয়ে সেই ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ বা ‘সামলে চালাও, জান বাঁচাও’ ধ্বনি দিয়ে সরকারের লাগাতার প্রচারে সুফল মিলেছে। সোমবার নবান্নে সরকারের সব দফতরের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকের পরে এই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরিবহণ দফতরের দেওয়া তথ্য দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রচারে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি এবং আহত হওয়ার হার— তিনটিই কমেছে। কতটা কমেছে? মমতা জানান, গত দেড় বছরে পথ-নিরাপত্তা নিয়ে লাগাতার প্রচার ও নজরদারির পরে দুর্ঘটনা কমেছে ১৬ শতাংশ। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার কমেছে ১৩ শতাংশ। দুর্ঘটনায় জখম হওয়ার হার কমেছে ১২.৫ শতাংশ।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘পরিবহণসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টও আমাদের এই কাজের প্রশংসা করেছে।’’ চলতি মাস থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবার ‘সেভ লাইফ, সেফ ড্রাইভ’ প্রচার চালাতে বলা হয়েছে। কারণ, এই সময়ে কুয়াশায় দুর্ঘটনার হার বেড়ে যায়।
গত বছর জুলাইয়ে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রকল্প শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে রাস্তার মোড়ে মোড়ে পথ-নিরাপত্তা সংক্রান্ত পোস্টার, ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। বৈঠকে হাজির এক মন্ত্রী বলেন, শুধু শীতকাল নয়, গোটা বছর ধরেই পথ-নিরাপত্তার এই প্রচার চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা না-হলে দুর্ঘটনা ফের বাড়তে পারে বলে মনে করেন তিনি।
পরিবহণ দফতরের দাবি, প্রাথমিক ভাবে চটজলদি ফল তেমন না-মিললেও ধারাবাহিক প্রচারে এবং নজরদারি বাড়ানোয় ওই প্রকল্পে সাফল্য মিলেছে। তাদের হিসেব বলছে, গত বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ৩৩১১ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। চলতি বছরে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২৬৪০। একই ভাবে দুর্ঘটনা মৃত এবং আহতের সংখ্যাও কমেছে যথাক্রমে ২৭৪ এবং ৪৭৬।