Mamata Banerjee on New Airports

হাসিমারাতেও বিমানবন্দর গড়ার পরিকল্পনা, মালদহে প্রায় শেষ, বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

সোমবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তাঁকে জেলার উন্নয়ন এবং বিমানবন্দরের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মমতা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩ ১২:০৮
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

আলিপুরদুয়ারের হাসিমারাতে নতুন বিমানবন্দর তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। সোমবার বিধানসভায় তেমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দর সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এ-ও জানিয়েছেন, হাসিমারার পর পুরুলিয়াতেও বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা আছে।

Advertisement

সোমবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ সেখানে তাঁর এলাকার উন্নয়ন সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। বিমানবন্দর নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিমান চলাচল প্রসঙ্গে জানতে চান ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরী। এই সব প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘‘কোচবিহার, বালুরঘাটে বিমানবন্দর তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। মালদহের কাজও শেষ পর্যায়ে। এর পর হাসিমারাতেও একটি বিমানবন্দর তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছে।’’

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, অন্ডালে একটি কার্গো বিমানবন্দর চালু করা হবে। বিমানবন্দর তৈরি হবে পুরুলিয়াতেও।

Advertisement

তবে এ বিষয়ে বিরোধী বিধায়কদের উদ্যোগী হতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রে যে হেতু বিজেপি সরকার ক্ষমতাসীন, তাই বাংলার বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘বিমানবন্দর তৈরির জন্য আপনারা দ্রুত দিল্লি থেকে ছাড়পত্রের বন্দোবস্ত করুন। ডবল ইঞ্জিন বিমান চলাচলের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হোক। বিমানবন্দরের জন্য ইতিমধ্যেই ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।’’

বিমানবন্দরের জন্য ছাড়পত্র দিয়ে থাকে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্র যত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে, তত দ্রুত বাংলার বিমানবন্দরগুলিতে বিমান চলাচল শুরু করা যাবে।

রাজ্যে সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২২টি জেলায় সংখ্যালঘু ভবন তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্র অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মৌলানা স্কলারশিপ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। ঐক্যশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেয় রাজ্য সরকার। এতে ৩৫ হাজার ছাত্রছাত্রী উপকৃত হয়। সরকার এই স্কলারশিপের জন্য ১,১০০ কোটি টাকা খরচ করে। সংখ্যালঘু স্কলারশিপের বিষয়ে বাংলা শীর্ষে আছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ২৩৫টি অনুমোদনহীন মাদ্রাসাকে মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে এনেছে রাজ্য সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement