কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস ফাইল চিত্র
মহিলাদের উপরে কোনও ধরনের নিগ্রহ-নির্যাতন তিনি যে মোটেই বরদাস্ত করবেন না, বুধবার রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)-কে তা বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, রাজনীতির রং না-দেখেই এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
“ডিজি এবং এডিজি-কে বলব, তফসিলি, আদিবাসী বা সাধারণ মানুষ, মা-বোনেদের উপরে অত্যাচার হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। শকুনিরা সব দিকে পরিকল্পনা-চক্রান্ত করবে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে,” তফসিলি জাতি পরামর্শদাতা পরিষদের এ দিনের বৈঠকে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের উদ্দেশে তাঁর নির্দেশ, অত্যাচারের অভিযোগ পেলে তদন্ত করতেই হবে। অভিযোগ সত্যি হলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। কাউকে রেহাই দেওয়া বা বাঁচানোর কোনও ব্যাপার নেই।
ভোটের পরে খুন, ধর্ষণ-সহ হিংসার বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জাতীয় মহিলা কমিশন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্যে এসেছিল। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কমিশনের অনুসন্ধান পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলে। পরে কলকাতা হাইকোর্ট ভোট-পরবর্তী পর্বে খুন ও ধর্ষণের তদন্তভার দেয় সিবিআই-কে। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা চলছে সরকারি স্তরে।
প্রশাসনিক কর্তাদের বক্তব্য, ভোটের পরে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হলেও কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেননি। তাই সেই সব অভিযোগের সত্যতা নিয়ে সরকারের অন্দরে প্রশ্ন উঠছে। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই তৃণমূলের কর্মী বা সমর্থক। এর বেশির ভাগই ভোটের আগেকার বা ভোটের সময়কার ঘটনা। কিছু ঘটনা ভোটের পরে ঘটলেও সেগুলি ৫ মে অর্থাৎ তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতার শপথগ্রহণের আগেকার। সরকারের বক্তব্য, যখন ওই সব ঘটনা ঘটেছে, তখন প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। নতুন সরকার প্রশাসনের রাশ গ্রহণ করার পরে আর কোনও ঘটনা ঘটেনি।
বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, পুলিশ প্রতিকার না-করায় অভিযোগকারীরা কমিশনে যান। রাজ্য সরকারের যুক্তি, পুলিশ অভিযোগ না-নিলে বিকল্প আইনি পথও খোলা আছে। আসলে এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।