বাঁ দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মাঝে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ডান দিকে অমিত শাহ
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে শুক্রবার নৈশভোজ সারতে যেতে পারেন অমিত শাহ। এ বিষয়ে ‘মিষ্টি’ প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাদাকে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, অমিতকে মিষ্টি দই খাওয়ানোর।
দু’দিনের রাজ্য সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রথম দিন উত্তরবঙ্গে কাটিয়ে, শুক্রবার তিনি যোগ দেবেন কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে আয়োজিত এক সরকারি সভায়। ঘটনাচক্রে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করার কথা সৌরভের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের। তার পরেই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ অমিতের বেহালা যাওয়ার কথা। তাঁর সঙ্গে থাকার কথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের।
বৃহস্পতিবার যখন নিউ জলপাইগুড়ির জনসভায় দাঁড়িয়ে মমতার সরকারকে আক্রমণ করছেন অমিত, প্রায় একই সময়ে কলকাতায় তৃণমূল ভবনে মমতাকে প্রশ্ন করা হয় দাদার বাড়িতে শাহের নৈশভোজ প্রসঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী তখন বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি সৌরভের বাড়িতে যেতে চান, তাতে সমস্যা কোথায়? আমি সৌরভকে বলব, ওঁকে মিষ্টি দই খাওয়াতে!’’
একুশে নীলবাড়ির লড়াইয়ের আগে সৌরভকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে তুলে ধরা হবে কি না, তা নিয়ে জনমানসে কৌতূহল তৈরি হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। অন্য দিকে ‘দাদা’ ও ‘দিদি’র সম্পর্কও অত্যন্ত ভাল। কিছু দিন আগেই সৌরভ নবান্নে গিয়ে মমতার সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। অসুস্থ সৌরভকে দেখতে হাসপাতালেও গিয়েছিলেন মমতা। দাদার বেহালার বাড়িতে গিয়ে চা-ও পান করে এসেছেন দিদি। সেই বাড়িতেই এ বার পা পড়তে চলেছে অমিতের। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন কৌতূহল।
প্রসঙ্গত, ইডেনে অমিত-পুত্র তথা বিসিসিআই সচিব জয় শাহের সঙ্গে দেখা হওয়ায় মমতা তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘বাবার সুগারের সমস্যা কেমন আছে? খুব বেশি মিষ্টি খাচ্ছেন না তো?’’ সেই মমতাই মিষ্টি দই দিয়ে শাহকে আপ্যায়ন করার কথা বললেন সৌরভকে।