গ্রাফিক— সনৎ সিংহ।
মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্তের ৫ বছর পূর্ণ হয়েছে ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে তা নিয়ে নাম না করে বিজেপি-কে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-কে তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘‘নোটবন্দি করে লক্ষ্মীর ঝাঁপি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমরা তাই সেই লক্ষ্মীর ঝাঁপি ফিরিয়ে দিচ্ছি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প করে।’’
‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে সংরক্ষিত শ্রেণির মহিলারা মাসিক ১ হাজার এবং অসংরক্ষিত শ্রেণির মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা করে সরকারি ভাতা পান।
অন্য দিকে, ১৬ নভেম্বর থেকেই চালু হচ্ছে ‘পাড়ায় সমাধান’ প্রকল্প। এই প্রকল্পে পাড়ার সরকারি শিবিরে সাধারণ ও ছোটখাটো দৈনন্দিন সমস্যা যেমন এলাকার রাস্তা খারাপ, পথবাতি, জল সরবরাহ-সহ একাধিক সমস্যার হাতেগরম সুরাহা মিলবে। ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে ‘পাড়ায় সমাধান’।
‘দুয়ারে সরকার’ থেকে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, ‘দুয়ারে রেশন’— রাজ্যে চলছে একাধিক সরকারি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প। শীতকালীন অধিবেশনে সেই প্রকল্পগুলির গুণাগুণ বর্ণনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাবে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। কিন্তু কী ভাবে ঘরে বসেই রেশন পাবেন সাধারণ মানুষ? বিধানসভায় তাও জানিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘গাড়িতে রেশন সামগ্রী ভরা হবে। পাড়ায় পা়ড়ায় পৌঁছে যাবে সেই রেশন-গাড়ি। তার পর গাড়ি থেকে রেশন নিয়ে তা পৌঁছে দেওয়া হবে বাড়ি বাড়ি।’’ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে দুয়ারে রেশন পরিষেবার সুবিধা দেওয়াই লক্ষ্য সরকারের।
বিপুল সাফল্য পেয়েছে রাজ্যের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। আগামী দিনেও তা জারি থাকবে বলে জানান মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘দুয়ারে সরকার সারা বিশ্বে এক নম্বর প্রকল্প হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াবে। এ পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে ৩৩ হাজার ক্যাম্প করা হয়েছে। ক্যাম্পে গিয়ে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন প্রায় ৩ কোটি মানুষ।’’ তিনি জানান, আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের নতুন পর্যায়। মমতা বলেন, ‘‘এখনও যাঁরা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে নাম তুলতে পারেননি, তাঁরা ১৬ তারিখ থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে গিয়ে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।’’