মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে অতিবৃষ্টির জেরে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই জেলাগুলিতে লাগাতার বৃষ্টির ফলে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মৃতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণের ঘোষণার পাশাপাশি ওই জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মন্ত্রীদের দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, দুর্গতদের কাছে ত্রাণসামগ্রী দ্রুত পৌঁছে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঘরের দেওয়াল ভেঙে অথবা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্লাবিত জেলাগুলির থেকে নির্বাচিত মন্ত্রীদের সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত এলাকায় এলাকায় গিয়ে নজরদারি চালানোর কথাও তিনি বলেছেন।
ঘটনাচক্রে, সোমবারই ঘাটালের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। আপাতত পঞ্চায়েতমন্ত্রী সেই জেলাতেই রয়েছেন। সেই সঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর আগামী কয়েক দিন প্লাবিত জেলাগুলি পরিদর্শন করবেন সেচমন্ত্রীও। মঙ্গলবার হাওড়া জেলার উদয়নারায়নপুর এবং আমতায় যেতে পারেন তিনি। বুধবার যাবেন হুগলি জেলার খানাকুলে। প্রসঙ্গত, হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার বেশ কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে সেনা নামাতে হয়েছিল। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রীদের নির্দেশ দেওয়ার পর প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা বেড়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় যে সমস্ত সামগ্রীর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর মারফত তা পৌঁছে দেওয়ার কাজে গতি আনতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ত্রিপল, পানীয় জল, শুকনো খাবারের মতো সামগ্রী যাতে দুর্গত এলাকার মানুষদের কাছে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়েও তৎপরতা বেড়েছে বলে সূত্রের খবর।