মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
হুগলির গুড়াপে মঙ্গলবার একটি পথ দুর্ঘটনায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শিলিগুড়ি থেকে ফিরে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভবানীপুরে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় নিহতের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে যাবেন বলে জানান।
গুড়াপে একটি টোটোতে ডাম্পারের ধাক্কায় শিশু, কলেজছাত্রী-সহ সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। মমতা বলেন, ‘‘গুড়াপে একটা দুর্ঘটনা হয়েছে। ডাম্পারের ধাক্কায় সাত জন মারা গিয়েছেন। আমি তাঁদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছি। জানি, মৃত্যুর কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না। তবে এই আর্থিক সাহায্যটুকু পরিবারের অনেকের কাজে লাগে।’’
মঙ্গলবার সকালে গুড়াপের কাংসারিপুর মোড়ে চুঁচুড়া দশঘরা ২৩ নম্বর সড়কে একটি চলন্ত টোটোতে ধাক্কা মারে তীব্র বেগে ছুটে আসা ডাম্পার। টোটোয় ছ’জন ছিলেন। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ছিলেন বাবা, মা এবং তাঁদের সন্তান, এক কলেজপড়ুয়াও। দুর্ঘটনার প্রতিঘাতে টোটোটি ডাম্পারের নীচে ঢুকে গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজে হাত লাগান। কোনও রকমে ডাম্পারের নীচ থেকে যাত্রীদের বার করে আনা হয়। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পাঁচ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বাকি দু’জনের পরে মৃত্যু হয়। টোটোর চালকও তখন চিকিৎসা চলাকালীন মারা যান। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানান, ঘাতক ডাম্পারের চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, টোটোয় ছিলেন, বিদ্যুৎ বেরা এবং তাঁর স্ত্রী প্রীতি বেরা, সম্পর্কে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। দম্পতি দু’বছরের সন্তান বিহানকে নিয়ে যাচ্ছিলেন গুড়াপের দিকে। টোটোয় ছিলেন পাণ্ডুয়ার রামেশ্বরপুরের বাসিন্দা রামপ্রসাদ দাস এবং তাঁর স্ত্রী নূপুর দাসও। মৃত্যু হয়েছে সৃজা ভট্টাচার্য নামে এক কলেজছাত্রীর। তাঁর বাড়ি ভাস্তারায়। মৃত টোটোচালকের বাড়িও গুড়াপেই। বুধবার এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।