মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
যিনি শাসন করেন, তিনি ছড়াও বাঁধেন। তিনি ছবিও আঁকেন, যিনি কণ্ঠ তোলেন। এবং তিনি শব্দও বানান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব শব্দ সংযোজন হল ‘শুভনন্দন’।
কোনও কিছুর নামকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতার জুড়ি মেলা ভার। তা সে সরকারি প্রকল্প বা দফতরই হোক, আবার রাস্তা বা পার্কই হোক! নিজের বৃহত্তর পরিবারের খুদে সদস্যদের নামও তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত। এই নামকরণের গণ্ডি ছাড়িয়ে বঙ্গজীবনে একটি নতুন শব্দের আমদানি ঘটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে শোনালেন একটি নতুন শব্দ।
বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর সফরের শেষ দিনে দিঘায় প্রেস ক্লাবের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বক্তৃতা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের সকলকে শুভ নববৈশাখের শুভনন্দন জানাচ্ছি। আমরা কথায় ইউজ় করি ‘অভিনন্দন’। আমি আজ থেকে শুরু করলাম ‘শুভনন্দন’। অর্থাৎ শুভেচ্ছা দিয়ে। শুভ থাকুন, ভাল থাকুন।’’ কিন্তু কেন ‘শুভনন্দন’, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘নতুন নতুন কথার আমদানি হয়তো করতে হবে। শুভকামনা, অভিনন্দন যদি হতে পারে, তা হলে শুভনন্দন কেন হতে পারে না? এটাতে শুভেচ্ছা এবং নন্দন দুটোই আছে। নান্দনিক বলতে পারেন।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতার মস্তিষ্কপ্রসূত বহু শব্দই এখন বঙ্গজীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে মিশে গিয়েছে। নবান্ন, শুভান্ন, উপান্ন— এই সব সরকারি দফতরের নাম তাঁরই দেওয়া। ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’র মতো সরকারি প্রকল্পের নামকরণও তাঁরই করা। মমতাই শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে জন্মানো বাঘের ছানাদের নাম দিয়েছিলেন— কিকা, রিকা ও ইকা। শুধু তা-ই নয়, সত্যজিৎ রায়ের বাসভবনের পাশ দিয়ে যে রাস্তা গিয়েছে, তার নাম দিয়েছেন ‘সত্যজিৎ রায় ধরণী’। এ বার সেই অভিধানে নয়া সংযোজন— ‘শুভনন্দন’।
প্রসঙ্গত, সমাজের প্রতি এবং সাহিত্যে নিরলস অবদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে বিশেষ পুরস্কার দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি। ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ মিলে তাঁর ১২৫টি বইও রয়েছে। তিনিই অতীতে জানিয়েছেন, সেই বই থেকে নিয়মিত রয়্যালটিও পান।