—ফাইল চিত্র।
শাহজাহানের গ্রেফতারির কয়েক ঘণ্টা পরেই ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও শাহজাহানকে নিয়ে একটিও কথা বললেন না তিনি।
বৃহস্পতিবার বেলায় ঝাড়গ্রামে সভা ছিল মমতার। আর শাহজাহানকে রাজ্যের পুলিশ গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার ভোরে। স্বাভাবিক ভাবেই সকলে ভেবেছিলেন, শাহাজাহান নিয়ে মমতা হয়তো তাঁর সভা থেকে কিছু বলবেন। কারণ, এর আগে বুধবার মমতা শাহজাহানের নাম না করে বলেছিলেন, তিনি জ্ঞানত কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না। অজ্ঞানত ভুল হয়েছে জানতে পারলে ভুল শোধরাতে যাবতীয় সাহায্য করেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল মমতার ওই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাহজাহানের গ্রেফতার হলেও মমতা সে ব্যাপারে নীরবই রইলেন।
মমতা বললেন, আগে এই জঙ্গলমহলে রক্ত ঝরেছে । আমি এখানে ঘুরে বেরিয়েছি। এখন জঙ্গমহলে আর রক্ত ঝড়ে না। আগামী দিনেও যেন আর না ঝড়ে।
ইন্দ্রনীলকে পর্যটন সার্কিট করতে বলেছি বললেন মমতা। জানালেন এই পর্যটন সার্কিট ঝাড়গ্রাম থেকে শুরু করে ঝিলমিল হয়ে বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর, মুকুটমণিপুর হয়ে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে আবার সরব মমতা। ঝাড়গ্রামের সভায় বললেন, ওই প্রকল্পে আমাদেরও টাকা আছে। এপ্রিল মাসের মধ্যে কেন্দ্র টাকা না দিলে মে মাস থেকে আমরা কী করি, দেখে নেবেন, বললেন মমতা।
এক শ্রমিকের কাছে শুনলাম ১০০ দিনের কাজের টাকা বাবদ তাঁর অ্যাকাউন্টে ৩০ হাজার টাকা ঢুকেছে। বুঝুন এই টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছিল। আমরা দিয়ে দিয়েছি। খুব বড় কাজ। বললেন মমতা।
লোকসভার ভোটের আগে শুনতে পাচ্ছি ওরা লুকিয়ে লুকিয়ে উজ্জ্বলা রান্নার গ্যাস দিচ্ছে। বললেন মমতা।
কেন্দ্র সারি এবং সারনা ধর্মকে স্বীকৃতি না দিলে বড় আন্দোলন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা।
ঝাড়গ্রামে যখন মমতার সভা চলছে তার কয়েক ঘণ্টা আগেই গ্রেফতার হয়েছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নতো শাহজাহান শেখ। এর আগে বুধবার মমতা বলেছিলেন, তিনি জ্ঞানত কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না। ভুল হয়েছে জানতে পারলে ভুল শোধরাতে যাবতীয় সাহায্য করেন। বৃহস্পতিবার শাহজাহানের গ্রেফতারির পর কি তিনি কিছু বলবেন?
মমতা বললেন ঝাড়গ্রামের ছেলেমেয়েরা তিরন্দাজিতে ভাল করছেন। তাই আর্চারি অ্যাকাডেমি করে দিয়েছি। আমার বিশ্বাস, এখানকার ছেলেমেয়োরা অলিম্পিক্সে যাবে। আমি জানি তিরন্দাজিতে আদিবাসীদের ধারে পাশে কেউ নেই। আমি চাই আপনারা অলিম্পিক্স জিতুন।
ঝাড়গ্রামে জমির পাট্টার দীর্ঘ দিনের সমস্যা মিটিয়ে মমতার প্রশ্ন, কি আপনারা খুশি তো? কিন্তু জনতার থেকে কোনও উত্তর না আসায় তাঁর প্রশ্ন, যাঁরা পেয়েছেন তাঁরা আসেননি নাকি? তার পরেও কোনও উত্তর না পাওয়ায় তাঁর প্রশ্ন আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন না? তবে জোরে বলুন ‘হ্যাঁ’। এর পরেই সমস্বরে জনতার দিক থেকে জবাব আসে— ‘হ্যাঁ’।