বাড়তি বোঝা চাপাতে চান না মমতা। —ফাইল চিত্র।
মোটর ভেহিকলস সংশোধিত আইন এ রাজ্যে কার্যকর করা হবে না বলে বুধবার স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘‘আমরা ওই সংশোধিত আইন রাজ্যে কার্যকর করব না।”
কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৮৯ সালের মোটর ভেহিকলস আইনের সংশোধনী বিল সংসদের দুই কক্ষে অগস্ট মাসেই পাশ করায়। দুর্ঘটনা কমানো এবং মানুষ যাতে ট্রাফিক আইন না ভাঙে, তার জন্য সংশোধিত আইনে জরিমানার অঙ্ক বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দশ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কারাবাসেরও সংস্থান রাখা হয়েছে কঠোর এই আইনে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সমস্ত রাজ্যে ওই আইন চালু করার জন্য নির্দেশিকাও জারি করে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক।
যদিও তার আগেই অগস্টের ২৮ তারিখ বিধানসভায় রাজ্যের পরিবহণন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন যে, ওই আইন এখনই চালু করা হচ্ছে না রাজ্যে। এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। রাজ্যে অনেক গরিব মানুষ আছেন। আমি তাঁদের উপর বাড়তি বোঝা চাপাতে চাই না।” তিনি জরিমানার বিশাল অঙ্কের কথা মনে করিয়ে বলেন, ‘‘বিরোধীদের কথা না শুনেই একতরফা ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার ওই আইন পাশ করিয়েছে।” তিনি জানান, শুরু থেকেই ওই আইন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়েছে। কিন্তু সরকার সেই প্রতিবাদে কর্ণপাত করেনি।
আরও পড়ুন: স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে হাজির দেবশ্রী রায়, ঘুরলেন তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গেই
আরও পড়ুন: বিজেপি যুব মোর্চার সিইএসসি অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, পুলিশের জলকামান-কাঁদানে গ্যাস
শুধু এই রাজ্য নয়। দেশ জুড়ে এই আইনে বর্ধিত জরিমানার অঙ্ক নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মতো এই আইন এখনও কার্যকর করেনি পঞ্জাব, রাজস্থান, তেলঙ্গানা, কেরলের মতো অবিজেপি শাসিত রাজ্য। সেই তালিকায় রয়েছে ছত্তীসগঢ়ও। খোদ গুজরাতও ওই আইন পুরোপুরি না মেনে নিজেদের মতো পরিমার্জন করে জরিমানার অঙ্ক কিছুটা কমিয়ে জনগনকে রেহাই দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ওড়িশা ওই আইন চালু করলেও, বিশাল অঙ্কের জরিমানাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হলে আপাতত নয়া আইন কার্যকরী না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।