জেলায় জেলায় সকালে স্কুল করার নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। ফাইল চিত্র।
দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত। তারই জেরে প্রাথমিক স্কুলের সময়সীমা ১ ঘণ্টা কমানো হল। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশিকা জারি করল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এ নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বুধবার থেকেই কার্যকরী হবে এই নির্দেশিকা। সকাল সাড়ে ১১টার বদলে এক ঘণ্টা আগে অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় স্কুল ছুটি হবে।’’
প্রসঙ্গত, গরমের কারণে রাজ্যের স্কুলগুলিকে সকালে ক্লাস করার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে সকালে স্কুল চললেও তা নির্দিষ্ট ছিল সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। কচিকাঁচাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তার এক ঘণ্টা আগেই ছুটি দেওয়া হবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্কুল খোলা থাকবে। সোম থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা এবং শনিবার সাড়ে ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত স্কুল খোলা থাকবে। পাশাপাশি, বেসরকারি স্কুলগুলিকেও দুপুরের বদলে সকালে খোলা রাখার আবেদন করেছে জেলা স্কুল প্রাথমিক সংসদ। স্কুলগুলিকে পর্যাপ্ত পানীয় জল রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি কৃষ্ণেন্দু বিশুই বলেন, ‘‘১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত করা হয়েছিল। তীব্র দাবদাহের কারণে আগামিকাল থেকে তা সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা এবং শনিবার ৯টা পর্যন্ত স্কুল খোলা রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে সেই নির্দেশিকা মেনে স্কুলে পঠনপাঠন হবে।’’
ঝাড়গ্রাম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি জয়দীপ হোতা বলেন, ‘‘গরমের কারণে স্কুলের সময় কমানো হচ্ছে। সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত স্কুল করা হবে, তার নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে।’’
রাজ্য শিক্ষা দফতর থেকে অ্যাডভাইজরি পাঠানো হয়েছে জেলায় জেলায়। ডিআই হুগলি সংঘমিত্র মাকু জানান, তাপপ্রবাহের জন্য সকালে স্কুল করার বিষয়ে জেলার সব স্কুলে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন ব্লক স্বাস্থ্য দফতর পাবলিক হেলথের সঙ্গে আলোচনা করে স্কুল চলবে। তবে মিড ডে মিলে কোনও সমস্যা হবে না।
বাঁকুড়া জেলায় তাপমাত্রা এখন ৪৪ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। সকালে স্কুল হলেও গরমের হাত থেকে নিস্তার পাচ্ছে না পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভ্যাপসা গরমে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে স্কুল পড়ুয়ারা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় অধিকাংশ স্কুলে মঙ্গলবার স্বাভাবিক পঠনপাঠন বন্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও জেলা শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে প্রতিটি স্কুলকে পড়ুয়াদের জন্য স্কুলে যথেষ্ট পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাসরুমে যাতে যথেষ্ট সংখ্যক পাখা ও বিদ্যুৎ সংযোগ অবিচ্ছিন্ন থাকে সে ব্যাপারে নজর রাখতে নির্দেশ হয়েছে প্রতিটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে।