প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বিপুল সাফল্যের পরে এ বার কলকাতার বিভিন্ন পুজো দখলে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। উৎসব দখলের সেই চেষ্টাকে ঘিরে সংঘর্ষও শুরু হয়ে গেল মঙ্গলবার রাতে। তার জেরে গভীর রাত পর্যন্ত টালিগঞ্জ থানা ঘেরাও করে রাখেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা।
রাসবিহারী সংলগ্ন শীতলাতলায় দক্ষিণ কলকাতা আদি বারোয়ারি সমিতির ৯২ বছরের পুজোকে কেন্দ্র করে রাতে তৃণমূল এবং বিজেপির সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে বচসা, তার থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, পুজো কমিটির দখল কাদের হাতে থাকবে, তা নিয়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত। রাত ৮টা নাগাদ পুজো কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শীতলতলা ক্লাবে বৈঠক করতে যান বিজেপি নেতা অজয় অগ্নিহোত্রী এবং সায়ন্তন বসু। অভিযোগ, কিছু ক্ষণ বৈঠক চলার পরে সায়ন্তন বেরিয়ে যান এবং তার পরেই ক্লাবে বিজেপির অন্য নেতা-কর্মীদের আটকে রাখেন স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকেরা। তখনই হাতাহাতি হয়। অজয়-সহ তাদের দু’জন আহত হন বলে বিজেপির অভিযোগ। তৃণমূলেরও অভিযোগ, তাদের কয়েক জন জখম হয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের টালিগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়।
পিছনে পিছনে গিয়ে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকেরা টালিগঞ্জ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিজেপি কয়েক দিন আগে জোর করে খুঁটিপুজো করে। তার পরে তারা ক্লাব কমিটির কিছু সদস্যকে হাত করে ফেলে এবং টাকা দিয়ে পুজোর দখল নেওয়ার চেষ্টা করতে এ দিন বৈঠকে বসে। তাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশই ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লাবে বিজেপির লোকজনকে আটকে রাখেন।
দিন পাঁচেক আগেই রিজেন্ট পার্ক এলাকায় বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানকে ঘিরে তাদের হাতাহাতি হয়েছিল তৃণমূলের সঙ্গে। সে-বার রিজেন্ট পার্ক থানা ঘেরাও করেছিল বিজেপি। তৃণমূলের বক্তব্য, এ দিন পুজো দখলের চেষ্টা রুখতে স্থানীয় লোকজনই ক্লাবে বিক্ষোভ দেখানোর পরে টালিগঞ্জ থানা ঘেরাও করেন।