জখম তৃণমূল কর্মী। — নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার মঠেরদিঘি এলাকা। রবিবার সকালে এই ঘটনায় জখম হয়েছেন কয়েক জন। পুলিশ জানিয়েছে, উভয় পক্ষই অভিযোগ করেছে। তদন্ত চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার মঠেরদিঘিতে বিজেপির তরফে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচি ছিল। দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করারও কথা ছিল। বৈঠকে আসার পথে একদল বিজেপি কর্মীর সঙ্গে চার তৃণমূল কর্মীর বচসা বাধে। মারপিট বেধে যায়। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি-সহ দলের তিন জন জখম হন। তৃণমূলেরও চার জন জখম হয়েছেন। আহতদের মঠেরদিঘি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও উভয়পক্ষের মধ্যে একপ্রস্ত মারপিট বাধে। এসডিপিও (ক্যানিং) রামকুমার মণ্ডল ও জীবনতলা থানার ওসি প্রদীপ পালের নেতৃত্বে বাহিনী হাসপাতালের সামনে গিয়ে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেয়। আহত বিজেপি কর্মীদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। জখম চার তৃণমূল কর্মীর মধ্যে দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে খবর।
স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সওকাত মোল্লা বলেন, “আমাদের কর্মীদের গালিগালাজ করেছিল বিজেপির লোকজন। প্রতিবাদ করলে মারধর করে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ও তাঁর দলবল মিথ্যা অভিযোগ করছেন আমাদের নামে।”
অন্য দিকে, বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দার বলেন, “প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ওই এলাকায় আমাদের দলীয় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়।”