তল্লাশিতে বন্দিরা কেন, হামলা জেলে 

পরিজন বা পরিচিত লোকজন দেখা করতে আসছেন। সঙ্গে আনছেন প্যাকেট ভর্তি বা প্যাকেটবিহীন সামগ্রী। তা পরীক্ষা করছে, তল্লাশি চালাচ্ছে সহবন্দিরাই। এমনটা হবে কেন? এই প্রশ্ন তুলে সহবন্দিদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ল বারুইপুর সেন্ট্রাল জেলের কয়েক জন বন্দি। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

পরিজন বা পরিচিত লোকজন দেখা করতে আসছেন। সঙ্গে আনছেন প্যাকেট ভর্তি বা প্যাকেটবিহীন সামগ্রী। তা পরীক্ষা করছে, তল্লাশি চালাচ্ছে সহবন্দিরাই। এমনটা হবে কেন? এই প্রশ্ন তুলে সহবন্দিদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ল বারুইপুর সেন্ট্রাল জেলের কয়েক জন বন্দি।
১৪ নভেম্বর বারুইপুর জেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। এখনও পর্যন্ত ২০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দি সেখানে গিয়েছে। তাদের সঙ্গেই সাক্ষাৎ করতে আসছেন আত্মীয়-পরিজন ও পরিচিত লোকেরা। সেই সময় নানান সামগ্রী সরাসরি বন্দিদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা। সেই সামগ্রী পরীক্ষা করার কাজে জেল-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করছে কিছু বন্দি। সাধারণত কর্তৃপক্ষের ‘বিশ্বাসী’ এবং ‘ভরসাযোগ্য’ বন্দিরা অনেক সময় জেলের নিরাপত্তা রক্ষার কাজ পেয়ে থাকে।
বিনিময়ে মজুরিও পায় তারা। কয়েক জন বন্দি সেই কাজ করছে বারুইপুরেও। তারা তল্লাশিও চালাচ্ছে। তা নিয়ে কিছু দিন ধরেই অসন্তোষ প্রকাশ করছিল অন্য বন্দিরা। তারাই জেলের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত বন্দিদের উপরে চড়াও হয় সোমবার দুপুরে। আহত হয় কয়েক জন বন্দি। আহতদের বারুইপুরের স্থানীয়
হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের। পদস্থ কারাকর্তাদের বিষয়টি জানান জেল কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত বন্দিদের কথা আদালতকেও জানাতে পারেন তাঁরা।
মঙ্গলবার সেখানে কারাকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বারুইপুরে আত্মীয়দের সঙ্গে ফোনে কথা বলবে বন্দিরা। একটি মোটা কাচের এক পাশে থাকবে বন্দি, অন্য দিকে
থাকবেন তার সাক্ষাৎপ্রার্থী
আত্মীয়। দু’জন পরস্পরকে দেখতে পেলেও মাঝখানে কাচ থাকায় সরাসরি কথা শুনতে পাবেন না। কথা হবে ফোনে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement