CID

CID: কয়লা নিয়ে সমান্তরাল তদন্তে সিআইডির সিট

বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৎকালীন ডিআইজি (সিআইডি)-র নেতৃত্বে সিট তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথেই তাদের তদন্ত বন্ধ হয় যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২২ ০৬:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

কয়লা পাচার কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে এক দফা চার্জশিট পেশ করলেও মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার নাগাল এখনও পায়নি সিবিআই। এ বার তাদের সমান্তরালে তদন্ত শুরু করে অনুপের খোঁজে নেমেছে সিআইডি। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কয়লা কাণ্ডের তদন্তের জন্য সিআইডি-র তরফে একটি ‘সিট’ বা বিশেষ তদন্তকারী দল গড়া হয়েছে। দশ সদস্যের সেই তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে রয়েছেন সিআইডির এক জন স্পেশাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট (এসএস)।

Advertisement

গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৎকালীন ডিআইজি (সিআইডি)-র নেতৃত্বে সিট তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথেই তাদের তদন্ত বন্ধ হয় যায়। আর রাজশেখরন নতুন এডিজি (সিআইডি) হওয়ার পরেই ফের নতুন সিট বানিয়ে কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য।

ভবানী ভবনের খবর, গত সপ্তাহে এডিজি (সিআইডি)-র নির্দেশে ওই সিট গঠন করা হয়। কয়লা পাচার নিয়ে গত কয়েক মাসে পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডাল, জামুড়িয়া, পাণ্ডবেশ্বর থানায় প্রায় সাতটি মামলা করেছে ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেড (ইসিএল)। সেই সব মামলায় কয়লা চুরি, তা পাচার করা এবং কয়লা নিয়ে দুর্নীতি-সহ বেশ কিছু অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই সব অভিযোগ নিয়েই প্রাথমিক ভাবে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি-র বিশেষ দল।

Advertisement

সিআইডি সূত্রের খবর, কয়লা চুরি, পাচার এবং কয়লা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে পাঁচ জনকে হেফাজতে নিয়েছে তারা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে অণ্ডালের গাইঘাটার বিজয় সিংহ, সিঁদুলি এলাকার অভিষেককুমার সিংহ, আসানসোলের উষাগ্রাম এবং পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি এলাকার ওমপ্রকাশ আগরওয়াল ও যুধিষ্ঠির ঘোষ। এ ছাড়া সিআইডি হেফাজতে নিয়েছে মির দিলওয়ার নামে এক ব্যক্তিকেও। ধৃতদের জেরা করে অবৈধ কয়লা ছাড়াও প্রায় আড়াই কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। কয়লা পাচার মামলায় অনুপ-সহ যে-সব অভিযুক্তের নাম সিবিআই তাদের চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, তাঁদের বেশ কয়েক জনকে খুঁজছে সিআইডি-র সিট-ও। সেই অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন পলাতক অনুপ।

গোয়েন্দারা জানান, ইতিমধ্যেই তাঁরা অণ্ডাল, জামুড়িয়া, পাণ্ডবেশ্বর এলাকার বিভিন্ন কয়লা খনি ঘুরে দেখেছেন। কথা বলা হয়েছে সেখানকার দায়িত্বে থাকা ইসিএল আধিকারিকদের সঙ্গে। এ ছাড়া ডেকে পাঠানো হয়েছে বেশ কয়েক জন কয়লা ব্যবসায়ীকে। এক পুলিশকর্তা জানান, আসানসোল কমিশনারেটের অধীনে থাকা থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement