Shahjahan Sheikh Arrest

শাহজাহান মামলায় মুখে কুলুপ সিআইডি কর্তাদের

গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির ‘বাদশা’ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকেরা। তার পরেই চম্পট দেন শাহজাহান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৪ ০৫:৪৫
Share:

শেখ শাহজাহান। —ফাইল চিত্র।

পুলিশের চোখে ‘ধুলো’ দিয়ে শেখ শাহজাহান সন্দেশখালির বিভিন্ন গ্রামে লুকিয়ে ছিলেন কি না, সেই প্রশ্নই ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পুলিশের একাংশের মনে। তার সদুত্তর এখনও সিআইডির তরফে মিলছে না। শনিবার বিভিন্ন সূত্র থেকে শাহজাহানের আত্মগোপনের ‘ডেরা’ নিয়ে নানা তথ্য সামনে এলেও সিআইডির কর্তারা সেই তথ্য সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি। তাঁদের বক্তব্য, কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে। তাই তদন্তের বিষয়ে কোনও কথা বলা যাবে না। তবে অনেকে বলছেন, অতীতে বহু বড় বড় ঘটনার তদন্ত সিআইডি করেছে। কিন্তু এমন ভাবে মুখে কুলুপ আঁটতে দেখা যায়নি।

Advertisement

গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির ‘বাদশা’ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকেরা। তার পরেই চম্পট দেন শাহজাহান। ৫৫ দিন ধরে পুলিশ তাঁকে ধরতে পারেনি। শেষমেশ মিনাখাঁ থেকে তাঁকে পাকড়াও করা হয়। তার ফলেই প্রশ্ন উঠেছে যে, পুলিশের নাকের ডগাতেই কি ‘লুকিয়ে’ ছিলেন তিনি? পুলিশের একাংশের মতে, ইডির উপরে হামলার দিন শাহজাহান কার কার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন, তা-ও জানা জরুরি। একটি সূত্রের দাবি, সে দিন শাহজাহান একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। তাই তাঁর নির্দেশেই গোটা ঘটনা ঘটেছিল কি না, তা প্রমাণ করতে শাহজাহানের দু’টি ফোনের তথ্য তদন্তকারীদের ঘেঁটে দেখাও একান্তই প্রয়োজন বলে দাবি করা হয়েছে।

শাহজাহানের ভাই সিরাজের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ তাঁর খোঁজ এখনও পায়নি। সিরাজ কোথায় গিয়েছেন বা তাঁকে খোঁজার কী কী চেষ্টা চলছে, সে ব্যাপারেও ‘তদন্তের স্বার্থে’ কোনও কথা বলতে চাননি সিআইডি কর্তারা।

Advertisement

৫ জানুয়ারির ঘটনায় সিআইডি অবশ্য ইডি অফিসারদের বয়ান সংগ্রহের উপরেই বেশি জোর দিচ্ছে। অভিযোগকারী ইডি কর্তাকে আজ, রবিবার ভবানী ভবনে ডাকা হয়েছে। সূত্রের দাবি, আক্রান্ত অফিসারদের বয়ানও নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement