One Vote One Election

‘এক দেশ এক ভোটে’র পক্ষে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

প্রয়োজনীয় সংখ্যা সরকারের পক্ষে থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই বিলটি নিয়ে জনমত তৈরির জন্য আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:২০
Share:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে আনা বিলটিকে পাঠানো হয়েছে যুগ্ম সংসদীয় কমিটিতে। সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে যত দ্রুত সম্ভব এটিকে পাশ করানোর। কিন্তু বিলটি পাশ করাতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। যার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা সরকারের পক্ষে থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই বিলটি নিয়ে জনমত তৈরির জন্য আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ নির্বাচনের মুখে দাঁড়ানো দিল্লিতে এনসিসি-র এক সভায় মোদী বলেন, “এক দেশ এক ভোটের প্রস্তাব নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের যুবারা আরও বেশি করে এগিয়ে আসুন এই নিয়ে আলোচনায় শামিল হতে।” তাঁর বক্তব্য, দেশে অনবরত নির্বাচনের কারণে গোটা বছরই প্রচার চলতে থাকে এবং সরকার ও প্রশাসন নীতিপঙ্গুতায় ভোগে।

Advertisement

আজ মোদীর কথায়, “এক দেশ এক ভোট নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্ক চলছে। লোকসভা এবং রাজ্যের বিধানসভাগুলির ভোট একসঙ্গে হলে প্রশাসন অনেক বেশি লক্ষ্যমুখী হয়ে কাজ করতে পারবে এবং ব্যাঘাত কম হবে। স্বাধীনতার পরে দীর্ঘদিন ধরেই লোকসভা এবং বিধানসভাগুলির ভোট একসঙ্গে হয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই কাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। তার জন্য দেশকে ভুগতে হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী সমস্ত এনসিসি ক্যাডারের কাছে আবেদন করেন দেশ জুড়ে এই নিয়ে আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। কারণ, মোদীর মতে, এই বিষয়টি সরাসরি ভাবে যুক্ত তাঁদের ভবিষ্যতের সঙ্গে।

প্রসঙ্গত, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় উঠে এসেছে এই প্রসঙ্গ। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু মনে করিয়ে দিয়েছেন, সব ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে দেশ। ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতির প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “এই নীতি দেশের আর্থিক বোঝা কমাতে পারে। নীতিপঙ্গুতা রুখতে পারে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement