Bally Bridge

বালি ব্রিজে চার দিন পর স্বাভাবিক হল যান চলাচল, আগের মতোই চলছে ট্রেন, হাসি নিত্যযাত্রীদের মুখে!

মেরামতির জন্য গত ২২ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল বালি ব্রিজ, অর্থাৎ বিবেকানন্দ সেতুর এক দিকের লেন। পাশাপাশি, ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল ডানকুনি-শিয়ালদা শাখায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৭
Share:

বালি ব্রিজে স্বাভাবিক হল যান চলাচল। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বালি ব্রিজ ও বালি হল্ট স্টেশনে সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে, যার ফলে প্রায় ১০০ ঘণ্টা পর সোমবার সকাল থেকে স্বাভাবিক হল ট্রেন চলাচল। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বালি ব্রিজেও। ফলে সপ্তাহ শুরুর সকালে হাসি ফুটেছে নিত্যযাত্রীদের মুখে।

Advertisement

মেরামতির জন্য গত ২২ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল বালি ব্রিজ, অর্থাৎ বিবেকানন্দ সেতুর এক দিকের লেন। দক্ষিণেশ্বর থেকে বালিগামী ভারী গাড়িগুলিকে পাশের নিবেদিতা সেতু দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। কেবল বালি খাল থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাওয়ার লেনটি খোলা রাখা হয়েছিল। ওই লেনটিতে শুধুমাত্র বাইক এবং তিন চাকার গাড়ি চলবে, এমনটাই জানিয়েছিল প্রশাসন। যদিও সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দু’চাকা এবং তিন চাকার যান চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়। সঙ্গে জানানো হয়, নিবেদিতা সেতু দিয়ে যাতায়াতের কারণে ওই চার দিন বাসের ‘টোল ট্যাক্স’ লাগবে না। পাশাপাশি, ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয় ডানকুনি-শিয়ালদা শাখায়।

সব মিলিয়ে অফিস যাওয়ার সময় চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অনেকটা ঘুরপথে রাজচন্দ্রপুর পর্যন্ত যেতে হচ্ছিল অফিসযাত্রীদের। কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে রেলিং পেরিয়ে যাতায়াত করছিলেন। চাপের মুখে যাত্রীদের সুবিধার জন্য বালি হল্ট স্টেশনের পাশের কংক্রিটের পাঁচিল ভেঙে বিকল্প রাস্তা তৈরি করে দেয় পুলিশ। বালিঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর আসার লেনটি চালু থাকলেও অন্য লেন বন্ধ থাকায় রোজ সকাল থেকে যানজট শুরু হয় রাস্তাটিতে। একে স্লথগতিতে যানচলাচল, তার উপর বাসে বাদুড়ঝোলা ভিড়। প্রায় প্রতিটি বাসেই দেখা যায় নিত্যযাত্রীদের পিঠে ব্যাগ নিয়ে পাদানিতে ঝোলার দৃশ্য। চার দিনের দীর্ঘ হয়রানির পর বালি ব্রিজে যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় খুশি যাত্রীরা। ট্রেন পরিষেবাও স্বাভাবিক হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। বিকল্প রাস্তাটিও আপাতত গার্ড রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় সড়কে নিরাপত্তা বজায় রাখতে পরে আবার পাঁচিল তুলে দেওয়া হবে বলে খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement