Naihati

বাজি নিষ্ক্রিয় করতে অন্য সংস্থাকে ডাক সিআইডি-র

ভবানী ভবনের খবর, জানুয়ারিতে নৈহাটির দেবকে একটি অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় পাঁচ জনের।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৬:০৪
Share:

এ ভাবেই তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে নৈহাটিতে। —ফাইল চিত্র।

পরপর বিকট শব্দ। তার পরেই দেখা গেল আগুনের কয়েকটি গোলা এবং কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী। জখম হলেন সিআইডি এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কয়েক জন কর্মী।

Advertisement

নৈহাটির গৌরীপুরের গঙ্গাপাড়ে কয়েক মাস আগের ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্য পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা বাজি ও বাজির মশলা আর নিজেরা নিষ্ক্রিয় করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিআইডি। তাদের বম্ব ডিস্পোজ়াল স্কোয়াডের বদলে তা নষ্ট করবে হলদিয়ার একটি সংস্থা। রাজ্য দূষণ পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী কলকাতা পুলিশ ওই সংস্থাকে দিয়েই নিজেদের এলাকার বাজেয়াপ্ত বাজি নিষ্ক্রিয় করায়। এ বার সেই পথ নিল সিআইডি-ও। বিভিন্ন থানার বাজেয়াপ্ত বাজির তালিকা দেওয়া হবে ওই সংস্থাকে। তারা সেই বাজি নিজেদের এলাকায় নিয়ে গিয়ে নষ্ট করবে।

ভবানী ভবনের খবর, জানুয়ারিতে নৈহাটির দেবকে একটি অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। তার পরে ওই এলাকার বিভিন্ন বাজি কারখানা থেকে কয়েক কুইন্টাল বাজির মশলা ও রাসায়নিক বাজেয়াপ্ত করা হয়। তা নিষ্ক্রিয় করার সময়েই বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সিআইডি-র কোনও গাফিলতি ছিল কি না, তা জানতে পৃথক তদন্ত করা হয়। তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় বম্ব স্কোয়াডের দুই সদস্যের বিরুদ্ধে। তার পরেই রাজ্য পুলিশ ঠিক করে, এখন থেকে বাজেয়াপ্ত বাজি বা তার মশলা সিআইডি নিষ্ক্রিয় করবে না। তবে বাজেয়াপ্ত বোমা বা তার রাসায়নিক আগের মতো তাঁদের বম্ব ডিস্পোজ়াল স্কোয়াডই নিষ্ক্রিয় করবে বলে জানান এক সিআইডি-কর্তা।

Advertisement

কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, থানা এবং লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের বাজেয়াপ্ত করা বাজি মালখানায় রাখা হয়। তার পরে লালবাজার থেকেই সেগুলি লরিতে তুলে পাঠানো হয় হলদিয়ায়। সেখানে ফাঁকা জমিতে পুঁতে তা নষ্ট করা হয়। এক পুলিশকর্তা জানান, রাজ্য পুলিশের এলাকায় বাজি উদ্ধার হলে বোমার মতোই তা পৃথক করে রেখে বম্ব ডিস্পোজ়াল স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হত। তারা নদীর চরের মতো কোনও ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে তা নিষ্ক্রিয় করত। এ বার সেই কাজের ভার পাচ্ছে হলদিয়ার সংস্থাটি।

দেবকে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ এবং পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি বা এনআইএ। লকডাউন চলাকালীন সেই মামলার তদন্তভার নেয় ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দারা জানান, সেই ঘটনার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বিভিন্ন ফরেন্সিক রিপোর্ট পেলেই আদালতে চার্জশিট পেশ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement