কলকাতা পুরসভার পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র
করোনা মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ের আভাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর তার মধ্যেই কলকাতায় কলেরা ও ম্যালেরিয়া দাপট দেখাতে শুরু করেছে। শনিবার ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানে এই দুই রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। কলকাতায় কলেরা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। কলেরা তো জল থেকে হয়। কোথাও জল যদি দূষিত হয়, সে ক্ষেত্রে এমনটা হয়। এ বিষয়ে জল বিভাগের বিশেষজ্ঞ দল রয়েছে। বিষয়গুলি আগে ভাল করে দেখা হচ্ছে। এবং যেখানেই আমরা এই ধরনের খবর পাব, সেখানে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই কলকাতা পুরসভা নেবে।’’
চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে এখন পর্যন্ত কলকাতায় ম্যালিরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬০০ জন। এমন পরিসংখ্যান নিয়ে ফিরহাদ বলেছেন, ‘‘অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে এই সংখ্যাকে আরও কমানোর। যেহেতু ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় কাজ চলছে, তাই আক্রান্তও কম মানুষ হচ্ছেন। কিন্তু কিছু সংখ্যক হলেও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে তা শূন্যে নামিয়ে আনা।’’ কলকাতা পুরসভার প্রশাসন সূত্রে খবর, কলকাতায় বহু জায়াগায় কারও ছাদে জল জমছে, ফেলে রাখা টায়ারে জল জমছে, বাড়ির ফ্রিজের ট্রে-তে জল জমেছে। বন্ধ বাড়িতেও জল জমেছে। এমন পরিস্থিতিতে পুর কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতার কাজ করছেন। ধারাবাহিক বর্ষার জেরেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছেন পুরকর্তারা।
বর্ষায় কলেজ স্ট্রিটের বর্ণপরিচয় মাকের্টেও জমা জল নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন পুরপ্রশাসক। কলকাতা পুরসভার সূত্রের খবর, এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ বর্ণপরিচয় মার্কেটে গিয়ে দেখবে কেন জল জমছে। বাজার বিভাগকেও বলা হয়েছে বর্ণপরিচয়ের নিকাশি ব্যবস্থায় কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে। সঙ্গে ফিরহাদ নির্দেশ দিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার বাজার বিভাগের আধিকারিকরা যেন দ্রুত শহরের সব বাজার পরিদর্শন করেন।