প্রতীকী ছবি।
সারদা-কাণ্ডে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রেফতারের দাবি নিয়ে যখন হইচই চলছে, সেই সময়েই বিভিন্ন ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থায় প্রতারিত আমানতকারীরা ফের রাস্তার আন্দোলনে নামতে চলেছেন টাকা ফেরতের দাবিতে। আমানতকারী ও এজেন্টদের নিয়ে আন্দোলনরত বিভিন্ন কমিটি ও মঞ্চ যৌথ ভাবে আগামী ৪ জুলাই ধর্মতলায় অবস্থানের ডাক দিল। টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ হবে জেলাতেও।
কলকাতা প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানেরা ঘোষণা করেছেন, কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই সরকারই যখন টাকা ফেরাতে তৎপর হচ্ছে না, তখন গণ-আন্দোলন ছাড়া পথ নেই। বিকাশবাবু বলেন, ‘‘আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম বৃহত্তর ষড়যন্ত্র উন্মোচন করার দাবিতে। আদালত তদন্তের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তার পরেও কোনও সরকারই এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে লিপ্ত লোকজনকে ধরা এবং টাকা ফেরাতে উৎসাহ দেখাচ্ছে না।’’ মান্নানের বক্তব্য, ‘‘মোদী সরকার আসার আগে সিবিআই যতটুকু কাজের কাজ করার করেছিল। তার পরে লোক-দেখানো তদন্ত চলছে! তৃণমূল বা অন্য দলের অভিযুক্তদের অনেকে বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে সাফ হয়ে গিয়েছেন! তদন্ত চলছে ৮ বছরের উপরে, কেন্দ্র ও রাজ্যের কোনও সরকারই আমানতকারীদের কথা ভাবছে না।’’ তৃণমূলের নেতা তাপস রায় অবশ্য বলেন, ‘‘ওঁদের কিছু বক্তব্য থাকতেই পারে। কিন্তু সেটা আদালতে গিয়ে বলতে পারেন, তদন্ত হচ্ছে আদালতের নির্দেশে।’’