Manoj Pant

মোদীর সঙ্গে বৈঠকে পন্থকে পাঠাচ্ছে রাজ্য

সরকারি সূত্রের খবর, এ বার মুখ্যসচিবদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে মূলত তিনটি বিষয় আলোচ্যসূচিতে থাকছে। কর্মসংস্থান, শিল্প বা ব্যবসায়িক উদ্যোগ এবং কর্মসংস্থানমুখী প্রশিক্ষণ।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী, চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৩১
Share:

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। —ফাইল চিত্র।

জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নীতি আয়োগের বৈঠকের মাঝপথেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে গিয়েছিলেন। অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁর বক্তৃতার মাঝপথে তাঁকে থামানো হয়েছে। এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের তরফে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বৈঠকে যোগ দেবেন। ১৩ ডিসেম্বর থেকে তিন দিনের বৈঠক হবে। জুলাই মাসে নীতি আয়োগের বৈঠকে যা-ই হোক না কেন, রাজ্য সরকার এই বৈঠকে মুখ্যসচিবকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement

নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের জুলাই মাসের বৈঠকে মোদী সরকার ‘বিকশিত ভারত-২০৪৭’-এর প্রাথমিক রূপরেখা পেশ করেছিল। সেখানে ২০৪৭-এ উন্নত ভারতের লক্ষ্যে পৌঁছতে ৩০ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।

সরকারি সূত্রের খবর, এ বার মুখ্যসচিবদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে মূলত তিনটি বিষয় আলোচ্যসূচিতে থাকছে। কর্মসংস্থান, শিল্প বা ব্যবসায়িক উদ্যোগ এবং কর্মসংস্থানমুখী প্রশিক্ষণ। বিরোধীরা বেকারত্বকে দেশের সবথেকে বড় সমস্যা হিসেবে তুলে ধরে মোদী সরকারকে নিশানা করছে। এই প্রেক্ষিতে কর্মসংস্থান ও বেকারত্বের সঙ্গে যুক্ত তিনটি বিষয়কে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠকের প্রধান আলোচ্যসূচিকে তুলে আনা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। নীতি আয়োগ সূত্রের খবর, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহরগুলিতে কর্মসংস্থান, ব্যবসায়িক উদ্যোগে উৎসাহ দেওয়া ও কর্মসংস্থানমুখী প্রশিক্ষণের ‘ইকোসিস্টেম’ তৈরি করা জরুরি। সে ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সমস্যা মিটবে। কাজের খোঁজে বড় শহরে ভিড় করা বা অন্য রাজ্যে যাওয়া ঠেকানো যাবে। এই শহরগুলিতে কারখানা উৎপাদনের সঙ্গে পরিষেবা ক্ষেত্রে কী ভাবে জোর দেওয়া যায়, বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন জোগান, পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি, ইন্টারনেট সংযোগ কী ভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। ব্যবসায়িক উদ্যোগে জোর দিতে পুঁজির যাতে অভাব না হয়, তারও রাস্তা খোঁজার চেষ্টা হবে।

Advertisement

নীতি আয়োগের আয়োজনে ২০২২-এর জুন মাস থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি রাজ্যের মুখ্যসচিবদের বৈঠক শুরু হয়েছিল। এর পরে গত বছর জানুয়ারি ও ডিসেম্বর মাসে আরও দু’বার বৈঠক হয়েছে। এ বার মুখ্যসচিবদের চতুর্থ সম্মেলন। তবে মোদী সরকারের তৃতীয় দফায় প্রথম বৈঠক হচ্ছে। এরপরে ২০ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জয়সলমেরে জিএসটি পরিষদের বৈঠকের পাশাপাশি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের থেকে আগামী বাজেট নিয়ে তাঁদের মতামত জানতে চাইবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement