রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন না মুখ্যসচিব। ফাইল ছবি
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হেনস্থার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু, সোমবার রাজভবনে যাননি রাজ্যের মুখ্যসচিব। রবিবার টুইট করে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ‘ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় যে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি প্রতিফলিত হয়েছে তার প্রেক্ষিতে মুখ্যসচিবকে সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে সর্বশেষ পরিস্থিতির তথ্য নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।’ তবে সোমবার রাজভবনে যাননি মুখ্যসচিব।
উত্তরবঙ্গ সফর সেরে সোমবারই এক সপ্তাহ পর নবান্নে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকও করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যস্ত থাকার কারণে সম্ভবত মুখ্যসচিব রাজভবনে যাননি বলে মনে করা হচ্ছে। নবান্নের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অভিযুক্ত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার পর রাজ্যপালের অতি উৎসাহী হয়ে মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠানোর ঘটনায় আসলে আমল দিতে নারাজ নবান্ন। রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া উপাচার্য হেনস্থার ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকায় ‘রুষ্ট’ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এমন পরিস্থিতিতে রাজভবনে যাননি মুখ্যসচিব।
এই প্রথম বার নয়। এর আগেও একাধিক বিষয়ে রাজ্যপাল মুখ্যসচিবকে রাজভবনে তলব করেছেন। কোনও ক্ষেত্রে রাজভবনে গিয়েছেন মুখ্যসচিব। আবার কখনও যাননি। তাই সোমবার তাঁর রাজভবনে না যাওয়াকে কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে নারাজ রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে রাজ্যপালের দায়িত্বে আসার পর থেকেই একাধিক বিষয়ে রাজভবনের সঙ্গে সঙ্ঘাত হয়েছে রাজ্য সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী-সহ তাঁর ক্যাবিনেটের একাধিক সদস্যের সঙ্গেও বাগ্যুদ্ধ চলেছে রাজ্যপালের। গত আড়াই বছরে বার বার এমন ঘটনা ঘটেছে। রাজভবন-নবান্নের সঙ্ঘাত পর্বে যুক্ত হল আরও একটি অধ্যায়।