মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।
৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলঘোষণা হয়েছিল। এ বার সেই ফল ঘোষণার মাসপূর্তির দিনেই পশ্চিমবঙ্গের বিদ্বজ্জনেদের একাংশকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টেয় আলিপুরের ‘সৌজন্য’-এ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি চা চক্রের আয়োজন করা হয়েছে। সেই চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী, কবি ও গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক আবুল বাশার, চিত্রশিল্পী শুভপ্রসন্ন, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্বদের। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী একান্তে তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে চান। তাই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলে খবর। এই বৈঠকে সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি থাকবে না বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
লোকসভা ভোট পরবর্তী দেশের পরিস্থিতি তথা রাজ্যে সাম্প্রতিক ঘটে চলা গণপিটুনির ঘটনা-সহ সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করতে পারেন বিদ্বজ্জনদের সঙ্গে। তবে বৈঠকে ঠিক কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তা আমন্ত্রিতদের জানানো হয়নি। গায়ক নচিকেতা জানিয়েছেন, ফোনে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁদের বিকেল ৪টেয় হাজির হতে অনুরোধ করা হয়েছে। বর্ষীয়ান গায়ক প্রতুলও মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দেবেন বলেই জানিয়েছেন। তিনি বৈঠকে থাকবেন বলে রাজ্য প্রশাসনকেও জানিয়ে দিয়েছেন। সাহিত্যিক আবুল বাশারকেও বৈঠকে যোগদানের জন্য ফোন করা হয়েছিল। তিনিও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে শামিল হবেন বলেই জানিয়েছেন।
সমাজের কৃতী ব্যক্তিত্বদের যাতে মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকে পৌঁছতে অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়, তাই তাদের বাড়ি থেকে বৈঠকে যোগদান করার জন্য পরিবহণের বন্দোবস্ত করে দেওয়া হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। রাজ্যের বিদ্বজ্জনেদের একাংশ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরোধিতা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন জানিয়ে এসেছেন। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে এই সমাজের সমর্থন পেয়েছে বাংলার শাসকদল। তা ছাড়া সুশীল সমাজের এই প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্ক নিবিড় বলেই জেনে এসেছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা। তাই মনে করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকে রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে।