শুভেন্দুকে আক্রমণ কুণালের। ফাইল চিত্র।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এ বার ‘কলার ধরে’ জেলে ঢোকানোর জন্য সিবিআইকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বিজেপি অবশ্য এমন বক্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়নি।
সদ্য শুভেন্দুর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে দলের বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছেন কুণাল। মঙ্গলবার তিনি যোগ দেন তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক-২ অঞ্চল তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে। রামতারক পানবাজারে আয়োজিত ওই সভায় ছিলেন তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রও। শুভেন্দুকে নিশানা করে কুণাল বলেন, ‘‘যাকে ক্যামেরার সামনে ঘুষ নিতে দেখা দিয়েছে, সিবিআইয়ের এফআইআরে যার নাম আছে, সে এখন দাঁড়িয়ে বলছে, সিবিআই কাল কার বাড়ি যাবে, পরশু কার বাড়ি যাবে। সিবিআই তুমি যদি নিরপেক্ষ হও, আগে এই কুলাঙ্গারটার কলার ধরো!’’ এর পরেই মঞ্চে বসে থাকা সৌমেনকে উদ্দেশ্য করে কুণালের মন্তব্য, ‘‘ও সোমেনদা, অখিলদা (অখিল গিরি) তো কারামন্ত্রী। একটা ওয়ার্ড ঠিক করে রাখতে বলুন। সেই ওয়ার্ডে ঢোকানো হবে শুভেন্দু অধিকারীকে।’’
এর পাল্টা হিসেবে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে নিশানা করেন কুণালকে। সাংসদ দিলীপের কটাক্ষ, ‘‘যিনি কোনও দিন রাজনীতি করেননি, কোনও দিন নির্বাচনে লড়েননি, নির্বাচনে প্রচার করে কাউকে জেতাননি, তিনি হচ্ছেন তৃণমূলের মহামন্ত্রী কুণালবাবু। তবে ওঁর অভিজ্ঞতা আছে জেল খাটার। আর কোনও অভিজ্ঞতা নেই। সেই তিনি কিনা আমাদের নেতা শুভেন্দুবাবুর নামে বলছেন!’’
সম্প্রতি নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা জয়দেব দাস-সহ বেশ কিছু কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সে প্রসঙ্গ টেনে এ দিন কুণালের দাবি, ‘‘শুভেন্দু দেখবে ওর বালির বাঁধ ভেঙে গিয়েছে!’’ শুভেন্দুকে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘‘এ বার নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত ভোটে ভাল করে বুঝিয়ে দেব বিধানসভায় লোডশেডিং করে ‘রেজাল্ট’ বদলানোর জবাব। বাংলা কোনও বিশ্বাসঘাতককে চায় না!’’ তমলুক সংগঠনিক জেলা বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পালের পাল্টা দাবি, ‘‘নন্দীগ্রামের মাটিতে স্বচ্ছ এবং অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টিতেই আমরা জিতব। বিজেপিকে কেউ আটকাতে পারবে না।’’