মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।
আগামী সপ্তাহে বুধবার অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারি বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তত তেমনটাই খবর প্রশাসনিক ও শাসকদল তৃণমূল সূত্রে। এই সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার পরেই পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তৎপরতা তুঙ্গে। প্রশাসনিক সূত্রে দাবি, জেলায় একাধিক প্রকল্পের শিল্যান্যাস করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা নির্বাচনের আগে যা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গোদার মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সভা হতে পারে। নবান্ন থেকে বার্তা পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার বৃষ্টির মধ্যেও সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন কর্তারা। বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও করেছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি। শাসক শিবির সূত্রে খবর, তারাও নিজেদের মতো প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘২৪ জানুয়ারি প্রশাসনিক সভা করতে মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমানে আসছেন বলে বার্তা এসেছে। সেই সভা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রায় এক বছর পরে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জেলায় আসছেন। তাঁকে দেখতে ও তাঁর কথা শোনার জন্যে প্রচুর মানুষ গোদার মাঠে ভিড়ও করবেন। তাঁরা যাতে সুষ্ঠু ভাবে সভায় সমবেত হতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার পর দিন অর্থাৎ ২৫ জানুয়ারি কলকাতায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (ববি) কাছে সশরীরে হাজির হওয়ার ডাক পেয়েছেন কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান-সহ ১৭ জন কাউন্সিলরের। এ কথা জানান রবীন্দ্রনাথই। তৃণমূল সূত্রে খবর, কালনা পুরসভা তৃণমূলের দখলে থাকলেও চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে নিয়ে ক্ষোভ বেড়েছে দলীয় কাউন্সিলরদের মধ্যে। ১৬ জন কাউন্সিলর ইতিমধ্যেই অনাস্থাপত্র জমা দিয়েছেন মহকুমা ও জেলা প্রশাসনের কাছে। তা নিয়ে আলোচনা করতেই শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠক ডেকেছেন বলে দাবি দলীয় সূত্রের।