ফাইল ছবি
লোকায়ুক্ত ও মানবাধিকার কমিশন নিয়োগের বৈঠক শেষে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম না করে তীব্র উষ্মা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই বিষয়ে ভারত সরকারের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। আমরা এই নিয়োগের ক্ষেত্রে সেই সব নিয়ম মেনে চলেছি। এই পদে নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দিষ্ট নির্দেশ রয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন রয়েছে, সবগুলিই মানা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সাতদিন আগে চিঠি দিয়ে বিষয়টি সবাইকে জানিয়েছিলাম। এই পদে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের বসানো হয়। আমি মনে করি প্রত্যেকের নিজস্ব সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা আছে। আমার কাজ আমি করব ওঁর (রাজ্যপাল) কাজ উনি করবেন।’’
প্রসঙ্গত, এই পদ্ধতিতেই রাজ্য সরকার তথ্য কমিশনারের নাম সুপারিশ করে কয়েক মাস আগে রাজভবনে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে। কিন্তু এখনও তাতে অনুমোদন দেননি রাজ্যপাল। এ ছাড়াও বিগত বিধানসভায় আনা গণপিটুনি বিলের অনুমোদন দেননি রাজ্যপাল। সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘তথ্য কমিশনার-সহ দু'জনের নিয়োগ আটকে রয়েছে। এখনও তাতে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। কি বলবে বল না!’’ এ বার লোকায়ুক্ত হিসেবে রাজ্যপালের কাছে নাম গেল প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়ের। মানবাধিকার কমিশনের সদস্য চেয়ারম্যান পদে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং এই কমিটির সদস্য হিসেবে শিবকান্ত প্রসাদের নাম চূড়ান্ত করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাতে অনুমোদন দিলে তবেই এই পদগুলি সাংবিধানিক ভাবে কাজ করার অধিকার পাবে। স্পিকার বলেন, ‘‘রাজ্যপালের কাছে এই নামগুলিতে অনুমোদন দেওয়া ছাড়া আর অন্য কোনও উপায় নেই।’’