Deucha Panchami

ডেউচা পাঁচামিতে আরও দু’টি থানা তৈরির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল মন্ত্রিসভা

সোমবার বিধাননগরের উন্নয়ন ভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখানেই ডেউচা পাঁচামি এলাকায় নতুন দুই থানার তৈরির সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:২৮
Share:

ডেউচা পাঁচামিতে প্রশাসনিক পরিবেশ ঠিক রাখতে পারলেই রাজ্যে বিনিয়োগ বাড়বে বলেই আশা প্রশাসনের। ফাইল চিত্র।

ডেউচা পাঁচামি এলাকায় আরও দু’টি থানা তৈরির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। সোমবার বিধাননগরের উন্নয়ন ভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানেই দেউচা পাঁচামি এলাকায় নতুন দুই থানা তৈরির সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

Advertisement

বর্তমানে মহম্মদবাজার থানা এলাকার অধীন ডেউচা পাঁচামি। সেখানেই রামপুর ও ডেউচা নামে আরও নতুন দুই থানা তৈরি হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডেউচা পাঁচামি এলাকার কয়লা খনিকে ঘিরে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তাই সে কথা মাথায় রেখেই নতুন থানা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সোমবার সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন পাওয়ায় নতুন থানা তৈরির আইনি পথ প্রশস্ত হল বলেই মনে করা হচ্ছে।

ঘটনাচক্রে, সোমবারই বীরভূম সফরে রওনা হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তিনিকেতনে থেকেই তিনি মালদহ, বীরভুম ও বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। মনে করা হচ্ছে, এই সফরেই মুখ্যমন্ত্রী ডেউচা পাঁচামি এলাকায় নতুন থানা তৈরি নিয়ে বীরভূম জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন। আগামী বুধবার বোলপুর জেলা পরিষদের ডাক বাংলো মাঠে প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভা থেকেই রামপুর ও ডেউচা পাঁচামির কোথায় নতুন থানা তৈরি হবে সে বিষয়েও ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ডেউচা পাঁচামিতে প্রশাসনিক পরিবেশ ঠিক রাখতে পারলেই রাজ্যে বিনিয়োগ বাড়বে বলেই আশা প্রশাসনের। তাই দেউচা পাঁচামি এলাকায় অশান্তির ঘটনা কমিয়ে সেখানকার পরিবেশ শিল্পবান্ধব করাই লক্ষ্য রাজ্য সরকারের, এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক।

Advertisement

এ ছাড়াও আরও একটি সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সম্প্রতি রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সমস্ত স্কুলে পঞ্চম থেক অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য মেধাশ্রী প্রকল্প শুরু করার কথা জানিয়েছিল, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ বিভাগ। সেই প্রস্তাবও মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করা হলে, তাতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে শুধুমাত্র তফসিলি জাতি ও জনজাতি সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরাই নয়, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত ছাত্রছাত্রীরাও এই প্রকল্পে প্রতি বছরে ৮০০ টাকা প্রাক-মাধ্যমিক বৃত্তি পাবে। দফতরের দাবি, প্রতি বছর আনুমানিক ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ছাত্রছাত্রীকে এই সুবিধা দেওয়া হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement