Lok Sabha Election 2024

ভোট-নজরদারিতে এ বার কেন্দ্রীয় এজেন্সিও, পোর্টাল তৈরির কথা জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

ভোটে নজরদারিতে এ বার কেন্দ্রীয় এজেন্সির শরণাপন্ন হতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ে একটি পোর্টাল তৈরি করার কথা জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪ ১২:৩৫
Share:

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। ছবি: সংগৃহীত।

ভোটে নজরদারিতে এ বার কেন্দ্রীয় এজেন্সির শরণাপন্ন হতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ে একটি পোর্টাল তৈরি করার কথা জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন,“সব কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ে একটি পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচনে আর্থিক দুর্নীতি আটকাতে এই পোর্টালের সাহায্য নেওয়া হবে।”

Advertisement

লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বাধীন ফুল বেঞ্চ। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকের আগে ২২টি কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা যায়, ভোটে কালো টাকা এবং অবৈধ টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে নজরদারি চালাবে ইডি কিংবা আয়কর দফতরের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও।

মঙ্গলবার রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য এবং অভাব-অভিযোগ শুনেছে কমিশন। সর্বদল বৈঠকে ছিল তৃণমূল-সহ মোট আটটি দল। সাংবাদিক বৈঠকে দলগুলির তরফে যে সমস্ত অভাব অভিযোগ জমা পড়েছে, সেগুলির উল্লেখ করেন রাজীব। অর্থশক্তির পাশাপাশি পেশিশক্তির ব্যবহার নিয়েও অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি জানান, আমলাতন্ত্র নিরপেক্ষ ভাবে ভোট করে না, এই মর্মে অভিযোগ জমা পড়েছে তাঁদের কাছে। এই সূত্রেই কমিশনের তরফে জানানো হয়, ভোট পূর্ববর্তী এবং ভোট পরবর্তী হিংসা রোখার চেষ্টা করবে তারা। রাজীব বলেন, একটি দল বাদে সব দলই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছে। পরিদর্শকদেরও সক্রিয় হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।”

Advertisement

রাজ্যে এ বার ৮০ হাজারেরও বেশি বুথে ভোটগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এ বার নতুন ভোটারের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ২৫ হাজার। রাজ্যের অন্তত ৫০ শতাংশ বুথে নজরদারি চালাতে সরাসরি ‘ওয়েব কাস্টিং’ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজীব। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ পেলে সাধারণ নাগরিকও ‘সিভিজিল’ অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছে কমিশন। রাজীব বলেন, “অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।” নির্বাচনতে ‘বাংলার ১৪ তম পার্বণ’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা চাই উৎসবের মেজাজে ভোট দিক মানুষ।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement