— প্রতীকী চিত্র।
প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রোমোটার অয়ন শীল এবং পার্থ ঘনিষ্ঠ নির্মাণ ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে (ব্যাঙ্কশাল কোর্ট) চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। শুক্রবার বিচার ভবনের সিবিআই বিশেষ আদালত বন্ধ থাকায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ওই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। শীতকালীন ছুটির পরে ২ জানুয়ারি বিশেষ আদালত চালু হলে বিশেষ আদালতের বিচারক চার্জশিট গ্রহণ করবেন, খবর সূত্রের।
ওই মামলায় আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে ‘মিডলম্যান’ তাপস মণ্ডল, তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ ও ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী সংস্থার কর্তা নীলাদ্রি ঘোষের বিরুদ্ধে প্রথম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। এখন ওই মামলা বিচার ভবনের সিবিআই বিশেষ আদালতে সরানো হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, এ দিন পার্থের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের ক্ষেত্রে রাজ্যের সম্মতি মেলেনি সপ্তাহখানেক আগে আবেদন করেও।
সিবিআইয়ের দাবি, প্রভাবশালী স্কুল শিক্ষক তাপস মণ্ডল, যুব নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতির মিডলম্যান। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের মাধ্যমে পার্থ প্রায় ১০৮০ জন্য অযোগ্য প্রার্থীর চাকরির ব্যবস্থা করেন। তাপস, কুন্তল, শান্তনু, সুজয়কৃষ্ণ ও সন্তুর মাধ্যমে অযোগ্যদের নামের তালিকা যেত পার্থের কাছে, সেখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে। পার্থ ও পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের যুগলবন্দিতে দুর্নীতি চলত। তবে সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ থাকায় মানিককে হেফাজতে নিয়ে জেরা বা গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি এখনও। তদন্তকারীদের দাবি, মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ ও সাক্ষী রয়েছে।
সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের দাবি, একাধিক মিডলম্যান মারফত অযোগ্য প্রার্থীদের টাকার বিনিময়ে চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন পার্থ। তাঁর বিরুদ্ধে ওই সব তথ্য চার্জশিটে রয়েছে। পাশাপাশি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, কুন্তল ঘোষ ও সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের সিন্ডিকেট মারফত অযোগ্য প্রার্থীদের কী ভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, তা-ও চার্জশিটে বলা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। এ দিন প্রায় ৬০ পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর। পার্থ, সুজয়কৃষ্ণ, শান্তনু ও সন্তু বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি সাহা ওই মামলায় জামিনে রয়েছেন।