Fire Scare

Panagarh Airforce: পানাগড়ে বায়ুসেনা ছাউনির কাছে গ্যারাজে আচমকা আগুন, আতঙ্ক এলাকায়

দমকলের আধিকারিক উৎপল পরামানিক বলেন, “জ্বালানি তেল ও দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ, পানাগড় শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২২ ০৬:৫৬
Share:

বিরুডিহায় অগ্নিকাণ্ড। নিজস্ব চিত্র

পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার বিরুডিহায়, ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে তেলের ট্যাঙ্কারের পার্কিং জ়োন সংলগ্ন গ্যারাজে আগুন লাগে। ‌কাছেই পানাগড় বায়ুসেনা ছাউনি। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। পৌঁছয় রাজ্য দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। বায়ুসেনার দমকলের একটি ইঞ্জিনও যোগ দেয়। প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার কারণ তদন্ত করে দেখছে দমকল। এ দিন রানিগঞ্জে একটি বন্ধ পেট্রল পাম্পের গুদামেও আগুন লাগে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসার রাজবাঁধে কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার ডিপো রয়েছে। সেখানে তেল নিয়ে যাওয়া ফাঁকা ট্যাঙ্কারগুলি বিরুডিহার ওই পার্কিং জ়োনে থাকে। পাশেই গ্যারাজ রয়েছে। ট্যাঙ্কারের প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির কাজ হয় সেখানে। ট্যাঙ্কারে জমে থাকা তলানির তেল জমিয়ে রাখা হয় গ্যারাজের পাশে। সে তেলেই এ দিন কোনও ভাবে আগুন লাগে বলে মনে করছেন স্থানীয়দের কেউ কেউ। প্রাথমিক তদন্তের পরে, পানাগড় দমকলের এক আধিকারিক উৎপল পরামানিক বলেন, “জ্বালানি তেলে আগুন লেগেছিল বলেই, এ ভাবে দ্রুত আগুন জ্বলে ওঠে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়। তবে ডিজেল না পেট্রলে আগুন লেগেছিল, তা পরিষ্কার নয়।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পানাগড় অর্জন সিংহ বায়ুসেনা ছাউনির সীমানা পাঁচিলের একেবারে গায়ে, অগ্নিকাণ্ড হয়। প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ ও তেল মজুত থাকায় আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। খবর পেয়ে দমকলের সঙ্গে পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেনা ছাউনির টাওয়ার থেকে নজরদারি চালাতে থাকেন জওয়ানেরা। মাইকে করে তাঁরা সাধারণ মানুষকে ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকার ও দমকল কর্মীদের কাজ করতে দেওয়ার আর্জি জানাতে থাকেন। প্রথমে পানাগড় থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন এবং‌ পরে আরও দু’টি ইঞ্জিন আসে। জলের পরিমাণ কমতে থাকায় বায়ুসেনার দমকল থেকে একটি ইঞ্জিন এসে সাহায্য করে।

Advertisement

দমকলের আধিকারিক উৎপল পরামানিক বলেন, “জ্বালানি তেল ও দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। তবে কী ভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এ দিকে, যেখানে জ্বালানি তেল মজুত করে রাখা হয়েছিল, আগুন লাগার পরেই সেখানে গিয়ে পুলিশ কারও খোঁজ পায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, কে বা কারা সেখানে জ্বালানি তেল মজুত করে রেখেছিল? নিয়ম মেনে তা রাখা হয়েছিল কি না বা বেআইনি ভাবে তেলের কারবার চলছিল কি না, তদন্তে সব দিক দেখা হচ্ছে।

এ দিকে, বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ রানিগঞ্জের শিশুবাগান মোড় লাগোয়া ডোমপাড়ার কাছে, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি বন্ধ হয়ে যাওয়া পেট্রল পাম্পের গুদামে আগুন লাগে। পুলিশ ও দমকল পৌঁছে প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে দেয়। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, গুদামের ভিতরে ‘গ্যাসকাটার’ দিয়ে একটি পরিত্যক্ত তেলের ট্যাঙ্কার কাটছিলেন গুদামেরই কয়েকজন কর্মী। তারপর ধোঁয়া বেরোতে শুরু করলে কর্মীরা গুদাম ছেড়ে পালিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, কী ভাবে আগুন লাগল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement