Jagdeep Dhankhar

আবার সংঘাতে আচার্য ও রাজ্য

উপাচার্যকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন, এত দিনেও কেন সেই শো-কজের উত্তর তিনি পেলেন না?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২০ ০৬:২৭
Share:

ফাইল চিত্র।

পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘিরে নতুন করে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের দ্বন্দ্ব দানা বাঁধছে।

Advertisement

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে ওই বিতর্কের সূত্রপাত। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে ‘আমন্ত্রণ’ না জানানো নিয়ে ট্যুইট করে অভিযোগ তোলেন। পরদিনই তিনি এই নিয়ে শো-কজ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। সরকারি সূত্রের খবর, সময়মতো ওই শো-কজের জবাব শিক্ষা দফতরে পাঠিয়ে দেন উপাচার্য। এই ঘটনার সাড়ে তিন মাসের মাথায় মঙ্গলবার সেই পুরনো প্রসঙ্গ নতুন করে তুলেছেন রাজ্যপাল। উপাচার্যকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন, এত দিনেও কেন সেই শো-কজের উত্তর তিনি পেলেন না?

উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “মাননীয় আচার্য ফোন করেছিলেন। শো-কজের উত্তর সময়মতো যথাস্থানে পাঠিয়ে দিয়েছি বলে তাঁকে জানিয়েছি।”

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, বিষয়টি উপাচার্য পরিষদের নজরে এসেছে। পরিষদের প্রেস বিবৃতিতেও তা স্পষ্ট।

কিন্তু ওই ব্যাপারে কোনও উত্তর মেলেনি। সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্রে আচার্যের নাম নেই কেন, সেই প্রশ্নও তখন উঠেছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ওই ব্যাপারে দাবি করা হয়, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষার পরেও জবাব মেলেনি। তাই অনুমতি না মেলায় আমন্ত্রণপত্রে নাম ছাপা যায়নি। তবু আচার্য সমাবর্তনে যোগ দিতে চাইলে তিনি স্বাগত। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আচার্যকে ছাড়াই ওই সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তার দাবি, ‘‘আইন অনুযায়ী শিক্ষা দফতরের মাধ্যমেই উত্তর পাঠানোর কথা। সেটাই হয়েছে। তা ছাড়া ওই ঘটনার এত দিন পরে কেন ফোন করা হল, তাতেও অবাক লাগছে।’’

ওই ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। ওই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “যত দূর জানি আচার্য তথা রাজ্যপালকে জানানোর পরেও তিনি উত্তর দেননি। তা ছাড়া শিক্ষাটা রাজ্যের বিষয়। রাজ্যপাল যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত করছেন।”

কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “যিনি শো-কজ করেছেন, তাঁকেই উত্তর দেওয়া হয় বলেই আমরা জানি। তৃণমূল জমানায় অবশ্য কোনওরকম নিয়মই মানা হচ্ছে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement