মালদহে চায়ে পে চর্চা— নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচি অনুকরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার পুরাতন মালদহের সদরঘাটে একই সময় বিজেপি এবং তৃণমূলের তরফে ‘চায়ে পে চর্চা’র আয়োজন করা হয়েছিল। বিজেপি-র দাবি, রাজনৈতিক ইস্যু খুঁজে না পেয়ে বিজেপির কর্মসূচির দিকে হাত বাড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল।
বিজেপি-র রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরের নেতাদের জেলা সফরে ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। শনিবার সকালে মালদহ থানার সদরঘাটে ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা বিজেপি। এই কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় জাহাজ এবং জলপথ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য, উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু-সহ জেলা নেতৃত্বরা যোগ দেন।
ঠিক সে সময়ই অদূরে পুরাতন মালদহ তৃণমূলের পক্ষ থেকে হয় ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচি। তৃণমূলের কর্মসূচির উদ্যোক্তা ছিলেন পুরাতন মালদা পুরসভার প্রশাসক কার্তিক ঘোষ।
জোড়া ‘চর্চা’ ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। খগেন অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তৃণমূল এমন কর্মসূচি নিয়েছে। এলাকায় অশান্ত করার চেষ্টা করে এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। যদিও খগেনের অভিযোগকে খণ্ডন করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কার্তিক ঘোষ জানান, প্রতিদিন তাঁরা পুরবাসীর কাছে যান। চায়ের ঠেকে বসে এলাকা এবং এলাকাবাসীর খোঁজ খবর করেন। আজও তাই হয়েছে। কোনওরকম অসৎ উদ্দেশ্য তাঁদের ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করে এলাকার শান্তির বাতাবরণকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি।’’