ফাইল চিত্র।
ইভিপি বা ভোটার তথ্য যাচাই কর্মসূচিতে অন্যান্য রাজ্যকে পিছনে ফেলে টি-টোয়েন্টির ধাঁচে ব্যাট করছে পশ্চিমবঙ্গ। তাতেও যে ওভার শেষের আগে প্রয়োজনীয় রান উঠবে না, সেই বিষয়ে পর্যবেক্ষকেরা এক প্রকার নিশ্চিত। অন্যান্য রাজ্য তো আরও অনেক পিছনে পড়ে রয়েছে।
এই অবস্থায় ইভিপি-র সময়সীমা বাড়ানোর প্রসঙ্গ তুললেন বিভিন্ন রাজ্যের সিইও বা মুখ্য নির্বাচনী অফিসার-সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা। ইভিপি-র অগগ্রতি নিয়ে সোমবার বিভিন্ন রাজ্যের সিইও-সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের সঙ্গে ভিডিয়ো-সম্মেলন করেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে সময় বাড়ানোর কথাই বলেছেন বিভিন্ন রাজ্যের সিইও-রা। কমিশনের কর্তারা সরাসরি কোনও আশ্বাস দেননি, আবার বিষয়টি খারিজও করে দেননি। সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনাধীন।
১ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ইভিপি শেষ হওয়ার কথা ১৫ অক্টোবর। তবে সেই সময়ের মধ্যে দেশের ৯১ কোটি ভোটারকে এই প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে সংশয়ের কথা কবুল করছেন কমিশনের অনেক কর্তাও। কারণ, রবিবার পর্যন্ত দেশে মাত্র সাড়ে তিন কোটি ভোটার ইভিপি-তে যোগ দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। পশ্চিমবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত তথ্য যাচাই করিয়েছেন প্রায় ৯৪ লক্ষ ভোটার। দ্বিতীয় স্থানে উত্তরপ্রদেশ, ইভিপি-তে যোগ দিয়েছেন সেখানে ৭৫ লক্ষ ভোটার। তৃতীয় রাজস্থান, ৬২ লক্ষ ভোটার তথ্য পরীক্ষা করেছেন।
বিভিন্ন দলের নেতাদের বক্তব্য, এই ধরনের বিপুল কর্মযজ্ঞের জন্য যে-পরিমাণ প্রচার প্রয়োজন ছিল, তা হয়নি। ভোটারেরা অনেক পরে ইভিপি-র বিষয়টি জেনেছেন। ১ সেপ্টেম্বরের অনেক পরে এই কাজ কিছুটা গতি পেয়েছে। তা ছাড়া অ্যাপ বা পোর্টাল মাঝেমধ্যেই ঠিকমতো কাজ করছে না বলে অভিযোগ। ফলে তথ্য যাচাইয়ের গতি শ্লথ হয়ে পড়ছে। কখনও ন্যাশনাল ভোটারস সার্ভিস পোর্টালে (https://www.nvsp.in) ওটিপি আসছে দেরিতে। তখন প্রথম ওটিপি খারিজ হয়ে যাচ্ছে। ফের শুরু করার কারণেও দেরি হচ্ছে। কখনও বা সার্ভারের সমস্যায় পোর্টাল থমকে যাচ্ছে। আবার ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপ ঠিকমতো কাজ করছে না। ফলে অনেকটাই দেরি হচ্ছে। এই সব বিষয়ে কমিশনের কাছে অনুযোগ করেছেন বিভিন্ন রাজ্যের সিইও এবং অন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা। তাঁরা তাকিয়ে আছেন কমিশন-কর্তাদের দিকেই।